সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সিকিমের মঙ্গন জেলা পুলিস সুপার সোনম ডিকচু ভুটিয়া বলেন, লাচুং, চুংথামে কিছু পর্যটক আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সিকিম পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। লাচেন, লাচুং ও চুংথামের রাস্তায় দু’টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে বেশ কিছু রাস্তাও ধসে একেবারে উড়ে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ধসের জেরে ইতিমধ্যেই মঙ্গনের পাক্ষেপ এলাকায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম বেশ কয়েকজন। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কো-অর্ডিনেটর তন্ময় গোস্বামী বলেন, আমাদের কাছে খবর প্রায় বারোশো পর্যটক আটকে রয়েছেন সিকিমে। বেশিরভাগই উত্তর সিকিমে। কিন্তু মোবাইল কাজ না করায় আটকে থাকা পর্যটকদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না। তবে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানতে পেরেছি, পর্যটকরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের হোটেলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে, সিকিমে বিপর্যয়ের জেরে চিন্তিত দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। তাদের তরফে হেল্প লাইন খোলা হয়েছে। হেল্প লাইন নম্বর ০৩৫৪-২২৫৫৭৪৯। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, ‘আমরা সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখছি। আটকে পড়া পর্যটকদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।’
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘অতি ভারী বৃষ্টির জেরে মেল্লি ব্রিজ, রবিঝোরা, লিকুভিরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাতীয় সড়ক। যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে ওই সব এলাকা দিয়ে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ধস মেরামতির কাজ চলছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি আমরা।’
প্রশাসন সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি-সিকিম লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৯ মাইলেও ধস নেমেছে। রবিঝোরা, তিস্তাবাজার, পেশক হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মেল্লিতে রাস্তা ডুবে ছিল। ফলে গ্যাংটক থেকে কোনও গাড়ি নামতে পারেনি। পরে সেখানে জল একটু কমলেও তিস্তা বাজারে রাস্তা থেকে জল নামেনি। ফলে গ্যাংটক থেকে যেসমস্ত গাড়ি নামছে, সেগুলি কালিম্পং হয়ে লাভা, গোরুবাথান দিয়ে নামার চেষ্টা করছে। পেলিং থেকে কিছু গাড়ি জোড়থাং, দার্জিলিং হয়ে নামছে।