সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বুধবারই হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দার সিং সুখু জানিয়েছিলেন, তাঁরা দিল্লির জন্য জল ছেড়েছেন। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে জানানোর জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা জল দিতে রাজি আছি। এনিয়ে কোনও যদি বা কিন্তু নেই।’ অথচ, এর ২৪ ঘণ্টা পরই হিমাচল সরকারের আইনজীবীর গলায় শীর্ষ আদালতকে শোনা গেল উল্টো সুর। তিনি জানালেন, ‘সেচের কাজের পরে ওই ১৩৭ কিউসেক জল অব্যবহৃত ছিল। কিন্তু তা নদীর প্রাকৃতিক গতিপথের অংশ। এটা আমরা ঠিক মতো জানাতে পারিনি। আমরা আগে হয়তো ভুল করেছি। এখন আমাদের সঠিক বয়ানটি রেকর্ড করা হোক। জলের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বলে আগে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, তা আমাকে সংশোধন এবং প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।’ এরপরই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় হিমাচলের আইনজীবীকে। তাঁকে বলা হয়, এর জন্য আদালতের অবমাননার দায়েও অভিযুক্ত করা যেতে পারে। এমনকী, রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও আদালতে তলব করা হতে পারে। এরপর হিমাচল সরকারের আইনজীবী আদালতে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি জানান, আগের মন্তব্যটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এই বিষয়ে রাজ্যের তরফে হলফনামা পেশ করা হবে।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, জল সরবরাহের জন্য আপার যমুনা রিভার বোর্ড (ইউওয়াইআরবি)-এর কাছে আবেদন জানাতে। বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র এবং বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের অবসরকালীন বেঞ্চ বলে, মানবতার খাতিরে জল সরবরাহের জন্য বিকেল পাঁচটার মধ্যে আবেদন করতে।