সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সকালে স্কুল করার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হল একই ভবনে চলা প্রাথমিক স্কুল। এই ক্ষেত্রে সাধারণত প্রাথমিক স্কুল চলে সকালে আর মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুল শুরু হয় বেলায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় একই পরিকাঠামো। কোথাও আবার সকালে মেয়েদের স্কুল, বেলায় ছেলেদের স্কুল চলে। এছাড়া, আরেকটি সমস্যা হল, বহু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীই কর্মস্থল থেকে অনেকটা দূরে থাকেন। সকালে আসার ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যা হয়। সেটাও একটা বড় অন্তরায়। তবে শিক্ষক, প্রধান শিক্ষকরা বলছেন, সবদিক মানিয়ে নিয়েই সকালের স্কুল চালু করা উচিত। যে সমস্ত শিক্ষক দূরে থাকেন, তাঁদের পরের দিকের ক্লাসের দায়িত্ব দেওয়া যায়। কাছাকাছি জায়গায় যে সমস্ত শিক্ষক থাকেন, তাঁরা শুরুর দিকের ক্লাসগুলি নিতে পারেন। তবে, যেহেতু এটি একেবারেই অস্থায়ী বন্দোবস্ত, তাই সমস্ত শিক্ষককেই পড়ুয়াদের জন্য একটু কষ্ট করে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ছাত্রীদের অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই সকালের স্কুল একটি সমাধান হতে পারে। তবে, শিক্ষিকাদের এ বিষয়ে রাজি করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ব জানি। কারণ, এর আগেও এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। তবে, দায়িত্ব ভাগ করে সবাইকেই নিতে হবে। সরকার এবং প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধা করে, পঠন-পাঠন এবং মিড ডে মিল প্রকল্প বিঘ্নিত করে স্কুলের সময় পরিবর্তন করা যাবে না। ফলে, সেদিকটিও মাথায় রাখতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে।