সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বিএসএফ জানিয়েছে, ১২ মে উত্তর ২৪ পরগনায় স্বরূপনগরের দোবারপাড় এলাকায় বাংলাদেশি গোরু পাচারকারীরা আমচকা বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে এক জওয়ান জখম হন। তখন রবার বুলেট চালিয়ে হামলাকারীদের হটিয়ে দেন ভারতীয় জওয়ানরা। ঘটনাটি সেইসময়ই বিজিবিকে জানায় বিএসএফ। এমনকী, আমজাদ নামে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর পায়ে রবার বুলেট লেগেছিল। সে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের বেনাপোলের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেই তথ্যও বিজিবিকে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই, ১০ জুন রাতে নদীয়ার ধানতলা এলাকায় আরও বড়সড় এক হামলা চালায় বাংলাদেশি গোরু পাচারকারীদের অন্য একটি দল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক বিএসএফ জওয়ানকে কোপানো হয়েছে। তাঁর ঘাড়ে, পিঠে ও পেটে কোপ পড়েছে। তাঁকে এত জোরে আঘাত করা হয় যে, তাঁর কোমরের ব্লেট পর্যন্ত কেটে পড়ে যায়! ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাইফেল ও ম্যাগজিন। ম্যাগজিনের গুলি মাটিতে পড়ে যায়। আত্মরক্ষার জন্য অন্য একজন রবার বুলেট চালান।
বিএসএফ সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পরই ফের বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের কমাড্যান্ট পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেখানে দুটি ঘটনার উল্লেখসহ কড়া প্রতিবাদ জানায় বিএসএফ। সূত্র মারফত বিএসএফ জানতে পেরেছে, হামলাকারীরা বাংলাদেশে ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।
এই হামলা প্রসঙ্গে বিএসএফ জানিয়েছে, এই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এর আগেও প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে। তাতে এক জওয়ানের মৃত্যুও হয়। নতুন করে দুটি হামলা হল মাত্র একমাসে। তবে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং পাচার রুখতে বিএসএফ সর্বদা সতর্ক। পাচারকারীদের উদ্দেশ্য কোনওভাবেই সফল হবে না বলেও দাবি করেছে বিএসএফ।