সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মঙ্গলবার নবান্নে মানিকতলা বিধানসভা এলাকার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মমতা। সেখানে হাজির ছিলেন মানিকতলা কোর কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ, স্বপন সমাদ্দার, অতীন ঘোষ। তবে বাইপাসের ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বেলেঘাটা কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশ পাল এদিনের বৈঠকে ছিলেন না। তবে হাজির ছিলেন ওই বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা। মমতার বৈঠকে ছিলেন সুপ্তি পান্ডেও। ঘটনাচক্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহপাঠী সুপ্তিদেবী।
তবে স্ত্রী নন, রাজনৈতিক চর্চায় উপ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সবার আগে নাম উঠে এসেছিল ন’বারের বিধায়ক সাধন পান্ডের কন্যা শ্রেয়ারই। কিন্তু তাঁর উপর আস্থা রাখেননি তৃণমূল নেত্রী। দলীয় সূত্রে খবর, শ্রেয়ার আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মমতা। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল, তাঁকে মানিকতলার সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এই বিধানসভার সাংগঠনিক কাজকর্মের জন্য আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষকে। আর উপ নির্বাচনে মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট করা হয়েছে অনিন্দ্য কিশোর রাউতকে। উল্টোডাঙা এবং মানিকতলা এলাকার সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তৃণমূল নেত্রীর কানে এসেছে। শ্রেয়ার নামেও কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। এছাড়া কাউন্সিলার শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর কিছু আচরণেও অসন্তোষ লুকিয়ে রাখেননি মমতা। বৈঠকের মধ্যেই বলে উঠেছেন, ‘শান্তি কে?’ এরপর উল্টোডাঙায় আবাসন ও অটো নিয়ে যে গণ্ডগোল হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে তাঁকে ধমক দেন মমতা। নেত্রীর নির্দেশ, মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান।