উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মঙ্গলবার সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। ওই রিপোর্টে ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত রাজ্যের সব লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা, সম্পত্তি, শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রভৃতি তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি থাকা প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের হার মাত্র ১৫ শতাংশ। অথচ, ফৌজদারি মামলা চলছে (যার মধ্যে গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে) এমন প্রার্থীদের জয়ের হার ২৮ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরা প্রার্থী হলে মামলার যাবতীয় তথ্য জানানোই দস্তুর। মনোনয়ন পেশের সময় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সেই তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করতে হয় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে।
এই ধরনের প্রার্থীদের মধ্যে কতজন জয়ী হয়ে এমপি-এমএলএ হয়েছেন, তার হিসেব বের করেছে ইলেকশন ওয়াচ। তা দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। সংস্থার সংযোজক উজ্জ্বয়িনী হালিম জানিয়েছেন, রিপোর্টে যে তথ্য উঠে আসছে, তা গণতন্ত্রের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
২০০৪-২০১৯, অর্থাৎ ১৫ বছরের মধ্যে স্বীকৃত রাজনৈতিক দল ও নির্দল মিলিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ১৬৩ জন। এই প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা মোট ১ হাজার ১২১ জন। তার মধ্যে গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলায় (অন্তত ৫ বছর জেল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যে মামলায়) অভিযুক্তের সংখ্যা ৮৩৩ জন। মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে জয়ী হয়ে এমএলএ-এমপি হয়েছেন ১ হাজার ৮১ জন। তাঁদের মধ্যে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ৩১০ জন। আর গুরুতর ফৌজদারি মামলা ছিল ২৩৮ জনের বিরুদ্ধে।
এই পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বিজেপি, ফরওয়ার্ড ব্লক সহ প্রভৃতি দলে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের জয়ের হার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থীদের থেকে ঢের বেশি। সেই নিরিখে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে সিপিএম ও সিপিআই। তাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি থাকা প্রার্থীদের জয়ের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে একেবারে ‘ধোয়া তুলসি পাতা’ নয়। ওই দুটি দলে যথাক্রমে ২৬ ও ২৫ শতাংশ ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরা ভোট-যুদ্ধে জিতেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ৬২ ও ৪০ শতাংশ।
এবার রাজনৈতিক দলগুলি যাতে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয় তার জন্য সক্রিয় হয়েছে নির্বাচন কমিশন। হলফনামায় জানানোর পাশাপাশি ফৌজদারি মামলা থাকা প্রার্থীদের একাধিক সংবাদপত্রে নিজের খরচে বিজ্ঞাপন দিয়ে তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে যে রাজনৈতিক দল এই ধরনের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিচ্ছে, তাদের ওয়েবসাইটেও অপরাধমূলক মামলাগুলির পূর্ণাঙ্গ তথ্য উল্লেখ করতে হবে।