উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এর আগে পুরুলিয়ারই জয়পুর কেন্দ্রে মোর্চার এই অনৈক্যের ছবি ধরা পড়েছে। সেখানে বিমানবাবুদের সেদিনের ঘোষণা মতো ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করেছেন। কিন্তু কংগ্রেসেরও একজন মনোনয়নপত্র দিয়েছেন। যদিও সেই প্রার্থীর নাম এআইসিসি ঘোষণা করেনি। তবে তাতে দমে না গিয়ে দুই প্রার্থীর নামে দেওয়াল লেখা শুরু হয়েছে। ক্ষুব্ধ ফরওয়ার্ড ব্লক বাঘমুণ্ডি কেন্দ্রেও একজনকে প্রার্থী হিসেবে ঠিক করেছে। দুই শিবিরই এব্যাপারে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’-এর কথা বলছে। এদিন বিমানবাবু বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কাশীপুর এবং জয়পুর দু’টি আসনেই বাম প্রার্থী লড়ার কথা স্থির হয়েছিল। এবার আমরা কোনও কেন্দ্রেই বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি না। আশা করি, বুধবার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। অধীর-মান্নানদের বক্তব্য, কাশীপুরে গত ভোটে কংগ্রেস লড়েছিল। তাই এই কেন্দ্রে এবার আমরা লড়ব বলে বিমানবাবুদের জানিয়েছিলাম। আলোচনার মাধ্যমে সিপিএম তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে বলে আশা করছি।
এদিকে, এদিন এআইসিসি কাশীপুর ছাড়াও দু’টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে। পিংলায় কংগ্রেস তথা মোর্চার প্রার্থী হচ্ছেন সমীর রায়। সমীরবাবুকে আগে খড়্গপুর সদর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু এই কেন্দ্রের কংগ্রেস কর্মীরা বহিরাগত প্রার্থীকে মানতে চাননি। এনিয়ে তারা দলীয় কার্যালয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। ভাঙচুরও করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধীরদের সুপারিশে সমীরবাবুকে পিংলায় টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাইকমান্ড। পিংলায় আগে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। খড়্গপুরে দলের নতুন প্রার্থী হিসেবে এখন স্থানীয় পুর প্রতিনিধি রীতা শর্মার নাম চূড়ান্ত করেছে এআইসিসি। এদিন দিল্লিতে অধীর-মান্নানরা এআইসিসি নিযুক্ত স্ক্রিনিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরবর্তী দফার ভোটে দলীয় প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা করেন। সেই বৈঠকে অবশ্য মোর্চার ঐক্যের স্বার্থে আইএসএফ’কে আসন ছাড়ার নিয়ে কোনও কথা হয়নি।
এরই মধ্যে মোর্চা তথা বামঐক্যে আর একদফা ধাক্কা দিয়ে সমীর পুততুণ্ডদের পিডিএস আলাদাভাবে ১২টি আসনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছে। সমীরবাবুদের কথায়, গোড়ায় তাঁরা বিজেপি বিরোধী বৃহত্তর মোর্চা গঠনের জন্য তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে চলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বাম শিবিরে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়। তবু বাম জোটের শরিক হিসেবে তাঁরা দু’টি পছন্দের আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত করেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবও আলিমুদ্দিন খারিজ করে। তাই তারা ১২টি আসনে এককভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে কংগ্রেস, সিপিএম কোটার কয়েকটি আসনও রয়েছে।