বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
চলতি আর্থিক বছরেই গোটা রাজ্যে দেড় কোটি নতুন সদস্য তৈরি করার জন্য গোটা রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে হাওড়া জেলায় ৮ লক্ষ ৩৬ হাজার নতুন গ্রাহক তৈরি করার জন্য বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই জেলায় ১২৩টি সরকার পোষিত গ্রন্থাগারে মাত্র ৮৮ হাজার সদস্য রয়েছেন। জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়ানোর জন্যই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য গত ১ মার্চ থেকে জেলার সমস্ত সরকার পোষিত গ্রন্থাগারে অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দু’লক্ষের বেশি সদস্য গোটা জেলায় তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে বলে গ্রন্থাগার দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন। জেলা গ্রন্থাগার দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এই নিয়ে মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় ওই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু, সদস্য বাড়ানোর নির্দেশিকা ভোট ঘোষণা হওয়ার অনেক আগে হওয়ায় সেই প্রকল্প চালু রাখতে কোনও সমস্যা নেই। তবে প্রতিটি গ্রন্থাগারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক নেতার ছবি বা বক্তব্য এই অভিযানে শামিল করা যাবে না। শুধুমাত্র যে অভিযান গত ১ মার্চ গোটা জেলা থেকে শুরু হয়েছে, তা চালিয়ে যাওয়া হবে।
যদিও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে, আসলে গ্রন্থাগারগুলির মান ক্রমশ কমছে। এখন তৃণমূলনেত্রীর বই গ্রন্থাগারগুলিতে রাখা কার্যত ‘বাধ্যতামূলক’ করা হয়েছে। সেই কারণে সাধারণ মানুষ গ্রন্থাগার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তাই সরকার বিনা পয়সায় গ্রাহক হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এতদিন মানুষকে বই পড়ানোর অভ্যাস করেনি বাম সরকার। বর্তমান সরকার মানুষকে বই পড়ানোর জন্য নানা সুবিধা করে দিচ্ছে। গ্রন্থাগারে বসে কোনও বই পড়লে বিনা পয়সায় ওই সদস্য পড়তে পারবেন। এতদিন এই সুবিধা কোনও সরকার দেয়নি। তাই বিরোধীরা শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করার জন্য এই কথাগুলি বলছে। অবশ্য জেলা গ্রন্থাগার লোকাল অথরিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস বলেন, অনেক আগে থেকেই এই প্রকল্প চালু হয়েছে। কিন্তু, নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য আমরা কোনও অনুষ্ঠান করিনি। তবে মানুষের কাছে আমাদের বক্তব্য আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। মানুষকে আরও বেশি বই পড়ানোর অভ্যাস করানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে মানুষ আরও বেশি সমৃদ্ধ হবেন। জেলার গ্রন্থাগারগুলিতে গ্রাহকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।