বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বর্তমানে প্রাক প্রাথমিকে তিনটি বই রয়েছে। কাটুমকুটুম, বিহান এবং মজারু। সেগুলির উপরই ই-কনটেন্ট তৈরি করার কাজ শেষ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লাসে জীবন্ত হয়ে উঠবে পাঠ্যপুস্তক। বইয়ের বিষয়বস্তুকে অডিও-ভিসুয়্যালে পরিণত করা হয়েছে। সেগুলি এক ধরনের প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হবে। প্রাথমিকে এমন কনটেন্ট আগে তৈরি করে ফেলেছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। তা ডিভিডি আকারে সব পড়ুয়াদের দেওয়ারও কথা ছিল। এবার কিছু সমস্যার কারণে তা দেওয়া যায়নি। কিন্তু এবার প্রাক প্রাথমিকে এই ই-কনটেন্টের মাধ্যমে পড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু করা হচ্ছে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, সরকারি স্কুলগুলিকে এই অনলাইন পঠনপাঠনের জন্য বিশেষ প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। সিলেবাস কমিটি যে ই-কনটেন্ট তৈরি করেছে, তা এই প্রজেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেখান থেকে ক্লাসে তা চালিয়ে দেখানো হবে পড়ুয়াদের। সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের এ বিষয়ে কথা হয়ে গিয়েছিল। সেই মতো আমরা এই বিষয়বস্তু তৈরি করেছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রাক প্রাথমিক থেকেই যাতে ই-লার্নিং শুরু করে দেওয়া যায়, তারই প্রয়াস করা হচ্ছে।
বাংলার শিক্ষা নামে যে শিক্ষা দপ্তরের পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, তাতে প্রাক প্রাথমিকের তিনটি বইয়ের ই-কনটেন্ট আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যে কেউ তা খুলে দেখে নিতে পারবেন কী কী রয়েছে। তবে কেন সরকারি স্কুল শিক্ষকদেরই কেন এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে? দপ্তর সূত্রে খবর, সরকারি স্কুলগুলিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের তরফে অনুদান দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ক্লাস তৈরি থেকে অত্যাধুনিক প্রজেক্টর বসানো—সবেতেই আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। তাই এই ই-কনটেন্ট চালু করার জন্য সরকারি স্কুলগুলিকেই প্রথম ধাপে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করা শিক্ষকদেরই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে প্রাক প্রাথমিকের পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষকদেরও এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। মার্চ মাসের ২৫ থেকে ২৭ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। ই-লার্নিং চালু করার পাশাপাশি, আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাক প্রাথমিকে বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর মিলেছে। তবে তিন থেকে তা বেড়ে কত হবে, সে ব্যাপারে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না দপ্তরের কর্তারা। এমন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের মতে, এতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় অনেকটাই সাহায্য করবে। বইয়ের একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে তাদের। পড়াশুনা যদি জীবন্ত হয়ে ওঠে, তাহলে পড়া বুঝতে অনেক সুবিধা হবে।