যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ইছামতী নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোগুলি আগে খুব জাঁকজমক, ধুমধাম করে হতো। পুজো উপলক্ষে চলত যাত্রাপালা, বাউল গান। বাইরে থেকে প্রচুর লোক আসত। তাঁদের বসিয়ে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু সেই সব আড়ম্বরের আর কিছুই নেই, জানালেন এলাকার বাসিন্দারা। পুজোগুলিকে কোনওক্রমে বাঁচিয়ে রাখতেই কলকাতা থেকে জমিদার পরিবারগুলির লোকেরা পুজোর দিনগুলিতে আসেন। কোনওক্রমে ইতিহাসকে ধরে রাখতে পুজো চালিয়ে যান। বর্তমানে তিনটি জমিদার বাড়ির পুজো বেঁচে আছে। সেগুলি হল কর্নেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর বাড়ি (৩৫০ বছর), পুবের বাড়ি (৩০০ বছর) এবং ঘোষ বাড়ি (৩৮০ বছর)। সারা বছরই কেয়ারটেকার দেখাশোনা করেন বাড়িগুলির। পুজোর কয়েকটা দিন কলকাতা থেকে জমিদার পরিবারের কয়েকজন আসেন। পুজো করে ফের চলে যান। আর তাঁদের দেখা মেলে না সারা বছর। ঘোষবাড়ির দালানগুলির ভগ্নপ্রায় দশা। বেশিরভাগ দালানে ঝুলছে গাছের শিকড়। ছাদের কড়ি-বর্গাগুলি ভেঙে ভেঙে পড়ছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভোলানাথ মণ্ডল জানান, টাকির জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে আগে দুই বাংলার লোক আসত। এখন সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় আইনের কড়াকড়ি বেড়েছে। তাছাড়া আগের মতো আর জাঁকজমকও নেই। দূর-দূরান্ত থেকে আর কেউ পুজো দেখতে আসে না।