যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
হীরক জয়ন্তী বর্ষে পা দিয়েছে লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দের পুজো। এবারে তাদের ভাবনাজুড়ে ‘হোয়াইট রাবণ’। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য সব্যসাচী দত্তের কথায়, ‘রামায়ণে আমরা রাবণকে খলনায়ক চরিত্রে দেখতে পাই। অথচ তিনি ছিলেন বহু গুণের অধিকারী। আপাতভাবে মানুষের কাছে অপরিচিত রাবণের চরিত্রের সেই বিশেষ দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। ইউনেস্কোর অন্যতম হেরিটেজ সিগিরিয়ার ধাঁচে তৈরি হয়েছে মণ্ডপের বহির্ভাগ। ভিতরে রয়েছে কাল্পনিক এক গুহা। তার মধ্যে রাবণের আটটি মূর্তি। বহু গুণের অধিকারী হয়েও ইন্দ্রিয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার ফলে রাবণের চরিত্রের পতন হয়। এবারের ভাবনার মধ্যে
দিয়েও সেকথাই বোঝানো হয়েছে। সুবিশাল মাতৃ প্রতিমা বিশভুজা। রাবণের শিবভক্তিও ছিল প্রবল। তা বোঝাতে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উঁচু শিবের একটি মূর্তি।
তেলেঙ্গাবাগানের এবারের থিম ‘তোরমা’। বার্লি ও ইয়াকের দুধ থেকে তৈরি মাখন দিয়ে তৈরি এই বিশেষ ধরনের কেক নৈবেদ্য হিসেবে উৎসর্গ করেন বৌদ্ধরা। সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও দেবতাদের উদ্দেশে এই তোরমা নিবেদন করেন। সেই ভাবনা থেকেই এবারের মণ্ডপসজ্জা। ফোম, প্লাই, কাগজ, কাপড়, বাঁশ দিয়ে তৈরি নানা রঙের তোরমা দর্শকদের নজর কাড়বেই, দাবি উদ্যোক্তাদের। মধ্যপ্রদেশের গোন্দ উপজাতির শিল্পকর্ম, জীবনযাত্রাকে হৃদয়ে অন্তঃকরণ করেছে উল্টোডাঙা পল্লিশ্রী। তাঁদের মাটির মূর্তি, ছবি, মাছ ধরার জিনিস দিয়ে মণ্ডপের অন্দরসজ্জা করেছেন শিল্পী তন্ময় হাজরা। গোন্দ উপজাতির এক শিল্পীর আঁকা মা দুর্গার ছবি ত্রিমাত্রিক প্রিন্ট করে মাতৃমূর্তি তৈরি করছেন শিল্পী সৌমেন পাল।
লেকটাউন নতুনপল্লী প্রদীপ সঙ্ঘের এবারের ভাবনা ‘রুদ্র’। ধরিত্রীর বুকে মানুষ যখন নানান পাপকার্যে লিপ্ত, তখনই অশুভের বিনাশে অবতীর্ণ হয়েছেন দেবাদিদেব। তাঁর ত্রিনয়নে বিরাজ করছেন দেবী মহামায়া। অন্তর থেকে তাঁর আরাধনা করলেই মিলবে মুক্তি—এই বিশ্বাস নিয়েই মাতৃবন্দনা।