যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
উৎক্ষেপণের পরদিনই অবশ্য পৃথিবীতে সংকেত পাঠিয়েছে অরবিটার। জার্মানিতে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, অরবিটরের সোলার প্যানেলগুলি সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। সেই তথ্যই সংকেতের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে সে। জানা গিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর এই সৌর প্যানেল খোলা এবং পৃথিবীতে বার্তা পাঠানোর জন্য অ্যান্টেনাগুলি সেট করেই প্রথম দু’দিন কাটিয়ে দেয় অরবিটর। তারপর শুরু হয় পৃথিবীতে তথ্য ও ছবি পাঠানোর পালা।
সোলার অরবিটরে রয়েছে ৬ টি শক্তিশালী টেলিস্কোপ। তা দিয়েই সূর্যের দূই মেরুর ছবি তুলবে নাসার এই নতুন মহাকাশযানটি। এছাড়াও এতে উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করার জন্য রয়েছে বিশেষ ‘হিট শিল্ড’। প্রায় এক হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা থেকে মহাকাশযানটিকে রক্ষা করবে এই ‘হিট শিল্ডটি’। সূর্যের কতটা কাছে যাবে এই মহাকাশযান? জানা গিয়েছে, সূর্য থেকে মাত্র দুই কোটি ৬০ লাখ মাইল দূরে থাকবে অরবিটর। নিজেকে সূর্যের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পৃথিবী ও বুধের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাহায্য নেবে সে। এভাবেই একটা সময়ে সূর্যের ঘূর্ণনের সঙ্গে নিজের আবর্তনের গতি মিলিয়ে নেবে মহাকাশযানটি। এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য সময় লাগবে প্রায় দু’বছর।
সূর্যের মেরু অঞ্চল ম্যাপিংয়ের কাজ সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে দশ বছর সময় নেবে মহাকাশযানটি। মেরু অঞ্চলের ম্যাপিংয়ের ফলে ঘনীভূত সৌর বাতাসের সূত্রও প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাচ্ছেন গবেষকরা। প্লাজমা কোথা থেকে আসছে, সৌর বাতাসের উৎপত্তিই বা কোথায়? সব রহস্যই ফাঁস করবে নাসার এই মহাকাশযান। সূর্যের চৌম্বক শক্তি কীভাবে পৃথিবীকে প্রভাবিত করে তা বুঝতে এই মেরু অঞ্চলের ছবি অনেকটাই সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।