বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সম্প্রতি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বানতলার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে ট্যানারি শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে কানপুর, তামিলনাড়ুর একাধিক উৎপাদক সংস্থা। মঙ্গলবার তেমনই কিছু সংস্থার হাতে জমি হস্তান্তরের কাগজ তুলে দিলেন অর্থ-শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এর জন্য ওই চর্মনগরীর ২৩০ একর জমির মধ্যে ৭০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ২৮টি বড় ট্যানারির হাতে সেই জমি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে ৯৭টি মিডিয়াম ট্যানারি এবং ৬২টি ছোট ট্যানারি। ওই সব ট্যানারি বানতলায় কাজ শুরু করবে। এদিন কানপুরের ১২টি বড় কোম্পানি, কলকাতার ১২টি ট্যানারি এবং চেন্নাইয়ের এক ট্যানারি হাতে জমি হস্তান্তর করা হল। চর্মশিল্পের সঙ্গে যুক্ত নামী সংস্থা বানতলায় কাজের সুযোগ আরও বাড়বে। বানতলা চর্মশিল্পে এক নম্বরে পৌঁছবে বলে অমিতবাবু দাবি করেন।
এদিনের ওই অনুষ্ঠানে অমিত মিত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান, শিল্প দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন বানতলার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও। বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে আগে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য ১৩০ একর জমি বরাদ্দ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বানতলায় শুধু চর্মনগরী থাকবে। অর্থাৎ চর্মশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ছাড়া অন্য কোনও সংস্থা সেখানে থাকবে না। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার জন্য যেসব জায়গা বরাদ্দ ছিল, সেখানে যারা শিল্পস্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছিল, তাদের নিউটাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে জমি দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য জমিও বরাদ্দ করা হয়েছে। বানতলায় কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়াও অত্যাধুনিক লেদার টেস্টিং ল্যাবরেটরি, ডিজাইন সেন্টার, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তৈরি হবে। বর্তমানে বিনিয়োগ হয়েছে ১৩,৫০০ কোটি টাকা। তা বেড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন অমিত মিত্র।