বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির মাটির পুতুলের সারা দেশজুড়েই সুনাম রয়েছে। এখানকার মাটির পুতুল বিভিন্ন জনের মাধ্যমে বিদেশেও গিয়েছে। এবার শিল্পীরা নিজেরাই সরাসরি বিদেশে রপ্তানি করতে পারবেন মাটির পুতুল। শুধু মাটির পুতুল নয়, তাঁতের শাড়ি, বিভিন্ন জামাকাপড়, এখানে তৈরি ওষুধ বা অন্যান্য হস্তশিল্প সামগ্রীও বিদেশে রপ্তানি হবে। এদিন কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে জেলার ১২০জনকে নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা দিলীপ ঢালি এক্সপোর্টের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু প্রমুখ।
জেলা শিল্প কেন্দ্র দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশে হস্তশিল্পকর্ম পাঠাতে হলে একজন হস্তশিল্পীকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যেসব দ্রব্যগুলি উনি রপ্তানি করবেন, সেগুলির কোড নম্বর দিতে হবে। ওয়েবসাইটে গিয়ে শিল্পী জানতে পারবেন কোন দেশে কী দ্রব্যের চাহিদা রয়েছে। সেই অনুযায়ী ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ হবে। দ্রব্যও পাঠাতে পারবেন। এই যোগাযোগের বিষয়টি পুরোটাই তত্ত্বাবধানে থাকবে রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর। দপ্তরের কর্তারা জানান, ঘূর্ণির মাটির পুতুল যেমন যাবে, তেমনই এই জেলায় বাচ্চাদের পোশাক তৈরি হয়, যার বিদেশে খুব চাহিদা রয়েছে। এখানকার ওই পোশাক বিদেশে যাবে। এছাড়া নাকাশিপাড়ায় এক ধরনের ওষুধ তৈরি হয়। যার চীন দেশে খুব চাহিদা রয়েছে। ওই ওষুধও যাবে চীনে। সারা বিশ্বেই যাবে এখানকার উৎপাদিত দ্রব্য। এছাড়া ফুলিয়া ও শান্তিপুরের তাঁত শাড়ি খুব বিখ্যাত। বাংলাদেশে এই তাঁত শাড়ির চাহিদা রয়েছে। এখানকার শাড়িও পাড়ি দেবে বাংলাদেশে।
জেলা শিল্প কেন্দ্র দপ্তরের এক কর্তা বলেন, আগে এই জেলার নানা দ্রব্য দালালদের মাধ্যমে বিদেশে যেত। দালালরাই লভ্যাংশের অনেক টাকা পকেটে ঢোকাত। শিল্পীদের তেমন লাভ থাকত না। এবার মাঝখানে কেউ থাকবে না। সরাসরি হস্তশিল্পীরা নিজেদের দ্রব্য বিদেশে পাঠাতে পারবেন। এবং লভ্যাংশের পুরো টাকাটাই পাবেন হস্তশিল্পীরা। জামা কাপড় যাঁরা বানান বা তাঁত শিল্পীরাও একইভাবে উপকৃত হবেন। জেলা শিল্প কেন্দ্রের ম্যানেজার রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, উৎপাদিত সামগ্রী বিদেশে পাঠানোর জন্য কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় বা দ্রব্যের কোড নম্বর কীভাবে দিতে হয় সবই হস্তশিল্পীদের হাতে কলমে শেখানো হবে। এদিন হস্তশিল্পীদের একটি কর্মশালা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রেখেছেন। এবার থেকে হস্তশিল্পীদের উৎপাদিত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি হবে। উপকৃত হবেন শিল্পীরা।