বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
নিজের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, ভারত এত দিন জেনারালাইসজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স (জিএসপি)-এর মধ্যে ছিল। এখন সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল, তার ব্যাখাও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি ওই চিঠিতেই বলেছেন, ভারত সরকার এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন ব্যাপার ভাল করে পর্যবেক্ষণ করার পরেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত তাদের দেশের বাজারে ব্যবসার ক্ষেত্রে এ ধরনের সুবিধা দেবে না কখনও। এই জিএসপি প্রোগ্রাম থেকে গোটা পৃথিবীতে যে ক’টা দেশ সব চেয়ে বেশি উপকার পায়, ভারত তাদের মধ্যে একটা। ফলে এই বড় সুবিধা প্রত্যাহার করা অবশ্যই সরকারের কাছে একটি বড় ধাক্কা। বস্তুত, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের বিরুদ্ধে এত বড় পদক্ষেপ আগে হয়নি। তবে এরকম পদক্ষেপ করার ভাবনা প্রকাশ করলেও, ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত আমেরিকাকে একই রকম সুযোগ-সুবিধা দেবে কি না সেটা আরও ভাল করে খতিয়ে দেখার কাজ চলবে।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপড়েনের আবহে আমেরিকাকে পাশে পেয়েছিল ভারত। কিন্তু সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বাণিজ্যিক দিক থেকে ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বার্তা দিল হোয়াইট হাউস। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত কী করে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। অন্যদিকে ভারতের মত তুরস্ককে দেওয়া বাণিজ্যিক সুবিধাও প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন ডিসির মেরিল্যান্ডে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) ট্রাম্প বলেন, ভারত অত্যন্ত উচ্চ শুল্কের একটি দেশ। তারা আমাদের উপর অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করছে। সম্মেলনে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্থানীয়, বৈশ্বিক ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মতো বিস্তৃত পরিধির ইস্যু নিয়ে কথা বলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুল্কারোপের আলোচনায় প্রায়ই আইকনিক হার্লে-ডেভিডসন মোটরসাইকেলের উদাহরণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা যখন ভারতে মোটরসাইকেল পাঠাই, তখন তারা এর উপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করে। আর ভারত যখন আমাদের কাছে মোটরসাইকেল পাঠায়, তখনও তারা শতভাগ অর্থ দাবি করে, কিন্তু এর বিপরীতে আমরা তাদের কাছে কোনও অর্থই দাবি করি না। এই কারণে তিনি একটি পারস্পরিক কর বা এমন একটি কর আরোপ করতে চান, যা হবে মিরর ট্যাক্স, কিন্তু পারস্পরিক।
চলতি বছরের শুরুতে পারস্পরিক কর প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউজের একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আইকনিক হার্লে-ডেভিডসন মোটরসাইকেল আমদানির শুল্ক শতভাগ থেকে ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনতে ভারতের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা যথেষ্ট না হলেও ঠিক আছে।