সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
জিতলেই নিশ্চিত সুপার এইটের টিকিট। ভারতের মতো একই লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল আমেরিকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে কোনও ঘরানাতেই মুখোমুখি হয়নি এই দুই দেশ। স্বাভাবিকভাবেই টি-২০ বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা ব্রিগেডের এই ম্যাচ নিয়ে তুমুল উৎসাহ ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। পরের রাউন্ডের অঙ্ক কষার তাগিদে পাকিস্তানও নজর রেখেছিল দ্বৈরথে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আমেরিকা ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১১০। নাসাউ কাউন্টির এই মাঠে চলতি আসরে সর্বাধিক ১৩৭ তুলেছিল কানাডা। তা টপকাতে পারেনি হোমটিম। তবে একসময় অন্তত ১২৫ তোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ১৬ ওভারের শেষে পাঁচ উইকেটে ৯৫ ছিল আমেরিকার স্কোর। কিন্তু ১৭তম ওভারে উইকেট মেডেন নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৮তম ওভারে অর্শদীপ সিং দেন ১ রান। যশপ্রীত বুমরাহ ১৯তম ওভারে খরচ করেন ৩ রান। আর মহম্মদ সিরাজের শেষ ওভারেও আসেনি সাতের বেশি রান।
ডেথ ওভারে ভারতীয় পেসারদের নিখুঁত নিশানার সামনে বড় শট নিতে পারেনি আমেরিকা। ইনিংসের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী নীতীশ কুমার। শুরুতে অবশ্য আমেরিকা একশো পেরবে বলেও ভাবা যায়নি। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় তারা। অর্শদীপ সিং ম্যাচের প্রথম বলেই এলবিডব্লু করেন শায়ন জাহাঙ্গিরকে (০)। সেই ওভারের ষষ্ঠ বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আন্দ্রিয়েস গাউস (২)। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারের শেষে আমেরিকার স্কোর ছিল ১৮-২। অধিনায়ক অ্যারন জোন্সকে (১১) ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। নীতীশ কুমার ছাড়াও আমেরিকার একজনই কুড়ির ঘরে পৌঁছেছিলেন। তিনি স্টিভেন টেলর (২৪)। কোরি অ্যান্ডারসন (১৫), শাডলি ভ্যান স্কালকাইক (অপরাজিত ১১), হসমিত সিং (১০) আটকে থাকলেন দশের গণ্ডিতেই।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অর্শদীপ সিং। বাঁ হাতি পেসার এদিন চার ওভারে মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে নিলেন চার উইকেট। চলতি আসরে তিন ম্যাচে তাঁর শিকার সংখ্যা ৭। স্বভাবতই তিনিই ম্যাচের সেরা। হার্দিক পান্ডিয়াও (২-১৪) বল হাতে নজর কাড়লেন।
১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া। কোহলি ছাড়াও ব্যাট হাতে ব্যর্থ অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৩)। বিরাট কোহলিকে নিয়ে ক্রমশই আশঙ্কা বাড়ছে। আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচেই ব্যর্থ। ১.৬৬ গড়ে মাত্র ৫ রান এসেছে তাঁর ব্যাটে। বুধবার আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রথম বলেই ফিরলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন. তবে কি ওপেনিং করার জন্যই চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছি না কোহলিকে? এরপর বিপজ্জনক হয়ে ওঠার মুখে আউট হন পন্থ (১৮)। কঠিন সময়ে হাল ধরেন সূর্য ও শিবম। শেষপর্যন্ত ৪৯ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন সূর্য। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ইনিংসে দুটি চার ও দুটি বিশাল ছক্কা। অন্যদিকে সমালোচনায় বিধ্বস্ত ছিলেন শিবম দুবে। বুধবার চাপের মুখে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পরবর্তী ম্যাচের আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাড় করে নিলেন ভারতীয় তরুণ।