স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, হাসপাতালের বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই। তদন্তকারীরা তদন্ত শুরু করেছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের গাফিলতির দিক তুলে ধরছেন অনেকেই। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আর পিজিটি বা জুনিয়র ডাক্তাররা কোনও ধরনের অস্ত্রোপচার, অ্যানাস্থেসিয়া করতে পারবেন না। অভিজ্ঞ সিনিয়র চিকিৎসকদেরই তা করতে হবে। এতে ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা। তারমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ভালো চোখে দেখেছে না মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এক রোগীকে দেখছিলেন এক জুনিয়র ডাক্তার। সেইসময় রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন দুই মহিলা নিরাপত্তাকর্মী। যা দেখে প্রতিবাদ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর বেশকিছু নিরাপত্তারক্ষী এসে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হন। সেইসময় ঘটনাস্থলে চলে আসে আরও বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার। বেশ কিছুক্ষণ ধরে হাতাহাতি চলে। এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনা দেখে হতবাক হয়ে যান রোগীর পরিজনরা।
এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের সবসময় দোষারোপ করা হচ্ছে। তবে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু কোনওকিছু নিয়ে প্রতিবাদ করলেই অপমানিত হতে হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ, মাতৃমা প্রসূতি বিভাগে যান তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁরা বিভিন্ন রেজিস্টার খতিয়ে দেখেন। একইসঙ্গে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে কথাও বলেন।