স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে জেলার ১৯টি ব্লকের ৫২হাজার ৫৮২জন উপভোক্তাকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। গত ৩১ডিসেম্বরের মধ্যেই এই টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রথম কিস্তিতে প্রায় ৩১৫কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য। এই টাকা পাওয়ার পরই প্রতিটি গ্রামে আবাসের উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন বলে প্রশাসনের দাবি। কিন্তু আদৌ সেই কাজ বাস্তবে কতটা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যের তরফে জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় কীভাবে আবাস প্রকল্পের উপর মনিটরিং করা হবে সেব্যাপারে জেলাশাসককেও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। প্রশাসনের দাবি, বিশেষ নজরদারি অভিযানের জন্য ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে জেলা আধিকারিকদের একটি জরুরি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে এই অভিযান প্রসঙ্গে বিশেষ আলোচনা হতে পারে। বৈঠকে বিভিন্ন এলাকার বালি, পাথর, সিমেন্ট সরবরাহকারীদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির সময় যাতে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে সমস্যায় না পড়েন এবং সেই নির্মাণসামগ্রী যাতে তাঁরা সঠিক গুণমানের পান সেব্যাপারে সাপ্লাইকারীদের উপরও নজর রাখবে প্রশাসন। কোনও উপভোক্তা নির্মাণসামগ্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়লে সহযোগিতা করবেন পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা। এছাড়া কোথাও সমস্যা হলে উপভোক্তাদের দরজায় পৌঁছে তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও।
উল্লেখ্য, এর আগে আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরি নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদারদের একাংশের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী সাপ্লাই সহ একাধিক অভিযোগ উঠত। এবার সেদিকেও বিশেষ নজর রাখবে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যের নির্দেশে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের আবাসের বাড়ি আদৌ কতটা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে সেদিকে নজর রাখা হবে। এই কাজ মূলত করবেন পঞ্চায়েতের আধিকারিকরাই। তবে কীভাবে এই নজরদারি অভিযান চলবে সেব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।