স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
সর্ষের জমি হলুদ ফুলে ভরে উঠতেই বেলডাঙ্গা, নবগ্রাম, হরিহরপাড়া, রেজিনগর, রানিতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, হুগলি প্রভৃতি জেলার মৌ পালকরা। সর্ষের ফুল আসতেই বেলডাঙায় ঘাঁটি গেড়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ের মধু চাষিদের একটি দল। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বেলডাঙায় ছিল দলটি। দলের সদস্য আনসার মোল্লা বলেন, প্রায় চারশো বাক্স নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে প্রথমে বেলডাঙায় এসেছিলাম। ওখান থেকে নবগ্রামে এসেছি। এবছর গত বছরের তুলনায় ভালো মধু পাওয়া যাচ্ছে। দলের অপর এক সদস্য ইসমাইল শেখ বলেন, দুই মাসে একটি বাক্স থেকে এক বালতি মধু (২০ কেজি) পাওয়া যায়। গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অর্ধেক বালতিও মধু পাওয়া যায়নি। তবে চলতি বছরে মধুর উৎপাদনে ভালো। তবে ভালো উৎপাদন হলেও মধু চাষিরা লাভের মুখ যে দেখবে এই কথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। গত বছর এক কেজি মধুর দাম ১০০-১২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। দাম নির্ধারণে আমাদের কোনও হাত থাকে না। মহাজনদের ধার্য্য মূল্য হাত পেতে নিতে হয়। নদীয়ার মধু চাষি অভিষেক মিস্ত্রি বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত মধু চাষের অফ সিজন। ওই সময় জলে চিনি গুলে মৌমাছিদের খাওয়াতে হয়। পাশাপাশি সংসার চালানোর বিষয়টিও রয়েছে। সেই কারণে কোম্পানির এজেন্ট বা স্থানীয় মহাজনদের থেকে দাদন নিতে বাধ্য হন গরিব চাষিরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষিজ ফসলের মত সহায়ক মূল্যে এখনও পর্যন্ত কেনা শুরু না হওয়ায় কোম্পানির এজেন্ট বা মহাজনরা সেই সুযোগটা নেন। নিজেদের মর্জিমতো একটা দাম ধরিয়ে দেয়। রাজ্য সরকার সহায়ক মূল্যে মধু কেনা শুরু করলে চাষিদের জলের দামে কোম্পানির এজেন্টদের মধু বিক্রি করতে হবে না। মৌ পালকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। বসিরহাটের বাদুড়িয়ার মিজানুর শেখ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মধু চাষে অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন।