স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, অনেক আগে পুকুর ভরাট হয়েছে। সেই অভিযোগগুলি এখন পাচ্ছি। দ্রুত পুকুরগুলি আগের অবস্থায় ফেরাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুতর অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে থানায় এফআইআর করা হচ্ছে। কোনওভাবেই সরকারি জমি, পুকুর দখল বরদাস্ত করা হবে না।
তালিকা অনেক লম্বা। নরসিংবাঁধের শ্যামবাঁধ, দক্ষিণ ধাদকায় শীতলা মন্দিরের কাছে পুকুর, পলাশডিহার পুকুর, আসানসোল জেলা হাসপাতালের কাছে ওয়াটার ট্যাঙ্ক সংলগ্ন পুকুর, নরসমুদার কালিকাপুর সায়েরপাড়ার পুকুর, শতাব্দী পার্কের অদূরে পুকুর, নরসিংবাঁধে পুকুর। আসানসোল শহরের বুকে এভাবেই একের পর এক পুকুরের আজ আর কোনও অস্তিত্ব নেই। ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এই পুকুরগুলি ভরাট করায় নির্দিষ্ট নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কংগ্রেসও আসানসোল পুরসভায় ডেপুটেশন দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, পুরসভার ৪৬নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মপুকুর, ইসলামপুর রামপুকুর, ২১নম্বর ওয়ার্ডের সায়েরবাঁধ, ১৪নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় সড়কের পাশে দু’টি খাদান ভরাট করে প্রোমোটিং হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুকুর ভরাটের অভিযোগ নিয়ে আসানসোল পুরসভাও তৎপর হয়েছে। তারাও থানায় একাধিক অভিযোগ রুজু করেছে। রানিগঞ্জে ভরিয়ে দেওয়া পুকুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর আশায় বুঁক বেঁধেছে শিল্পাঞ্চলের মানুষ। অনেকের আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর নজর সরলেই আবার আগের অবস্থা ফিরে আসবে।
অনেকের মতে, সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা শিল্পাঞ্চলের জমি দুর্নীতিকে লক্ষ্য করেই। তিনি জানিয়েছেন, ভিনরাজ্য থেকে লোক এসে জমি নিয়ে নানা অন্যায় কারবার করে চলে যাচ্ছে। তাদের ধরে আনতে হবে। শিল্পাঞ্চলবাসী বিলক্ষণ জানে, আসানসোলের জমির নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে বিহার-ঝাড়খণ্ডের মাফিয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে। তাই একথা অনেকের মনে ধরেছে। কিন্তু যেভাবে এখানকার জমি কারবারিদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের সরাসরি যোগ রয়েছে তাতে তদন্ত কতদূর এগবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। সবার চোখের সামনেই আসানসোল উত্তর থানায় পশালডিহা মৌজায় অবৈধ উপনগরী জ্যোতিনগর গড়ে উঠছিল। পুলিস সেই কাজ করার জন্য দু’জন প্রোমোটারকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু, সেই জমি দখল করার সবচেয়ে পিছনে থাকা বড় হাত ‘দাদা’র বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস, সেটাই সাধারণ মানুষের আক্ষেপ। এক পুলিসকর্তা জানান, কান টানলে তো মাথা আসবে। জমি কারবারে ধৃত একজনের সঙ্গে শিল্পাঞ্চলে কাজ করা এক প্রভাবশালী পুলিসকর্তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বহু প্রভাবশালীর টাকা খাটছে সেই প্রোমোটারের কাছে। তাই এই সিন্ডিকেট ভাঙা সহজ নয়।’(শেষ)