স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
অধ্যক্ষ বলেন, পিজিটিরা (স্নাতকোত্তর স্তরের ডাক্তারি পড়ুয়া) অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত থাকতে পারেন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়মের আওতায় তাঁদের পাঠক্রমেই বিষয়টি রয়েছে। তবে প্রথম থেকেই হাতে ছুরি-কাঁচি ধরতে তাঁরা পারেন না। সিনিয়র চিকিৎসকদের সাহায্য করা দিয়ে অপরেশন থিয়েটারে তাঁদের হাতেখড়ি হয়। পরে ধাপে ধাপে তাঁরা শল্য চিকিৎসায় অংশ নেন। ওই নিয়ম মেনে জুনিয়র ডাক্তাররা চলছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে এমএসভিপিকে সঙ্গে নিয়ে আমি ওটিতে সারপ্রাইজ ভিজিট করছি। তবে এটা মেদিনীপুরের ঘটনার পর হচ্ছে এমন নয়। এর আগেও আমরা অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শন করেছি। এটা আমাদের রুটিন কাজের মধ্যেই পড়ে।
এদিনের বৈঠকের ফাঁকে এমএসভিপি বলেন, অপারেশন থিয়েটারের ডিউটি রোস্টার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওটিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়। পাশাপাশি পড়াশোনার মানোন্নয়ন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
অপারেশন থিয়েটারে জুনিয়র ডাক্তার বিশেষ করে পিজিটিদের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক দানা বাঁধতেই চিকিৎসকদের মধ্যে নানা মত উঠে আসছে। অনেকেই অনভিজ্ঞদের হাতে ছুরি-কাঁচি তুলে দেওয়া থেকে সিনিয়র চিকিৎসকদেরই বিরত থাকার কথা বলছেন। কেউ কেউ আবার ভবিষ্যতের ভালো শল্য চিকিৎসক(সার্জেন) তৈরি করতে অপারেশনে জুনিয়রদের অংশগ্রহণ জরুরি বলে মত দিয়েছেন। এক চিকিৎসক বলেন, তিন বছরের পাঠক্রম শেষে পিজিটিরা পুরোমাত্রায় ডাক্তারি শুরু করে দেন। আর পাঁচটা কোর্সের সঙ্গে ডাক্তারিকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি হাতেকলমে না শিখলে ডাক্তারি করা যায় না। প্রথম বছর পিজিটিরা অপারেশনের টেবিলে রোগীর স্যালাইন, রক্ত চালিয়ে থাকেন। ওইসময় তাঁরা মূলত অপারেশন টেবিলে সার্জেনের বিপরীত দিকে থাকেন। পরের বছর থেকে তাঁরা শল্য চিকিৎসকের হাতে হাত লাগিয়ে অপারেশন প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে অংশগ্রহণ করেন। শেষের দিকে সিনিয়র চিকিৎসকদের নির্দেশক্রমে তাঁদের অনেকেই অপারেশন করেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। হঠাৎ করে পিজিটিদের হাত থেকে ছুরি-কাঁচি কেড়ে নিলে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে। তখন রোগীরা কতটা সঠিক পরিষেবা পাবেন তা ভেবে দেখা প্রয়োজন।