স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। নাবালিকার বাবা-মা স্থানীয় বেলতলা এলাকায় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করত। সেখানে অস্থায়ী ঠিকানায় বেশিরভাগ সময় থাকত তারা। এদিকে বাড়িতে দাদু-দিদার কাছে ছোট ভাইকে নিয়ে থাকত বছর তেরোর ওই নাবালিকা। প্রায়ই সন্ধ্যার সময় কাজের শেষে ছেলে ও মেয়েকে দেখার নাম করে আসত ওই যুবক। আর বাড়িতে সুযোগ বুঝে নাবালিকা কন্যার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত। কাউকে জানালে ফল ভালো হবে না বেল সে মেয়েকে ভয় দেখাত। প্রথমে ভয়ে কাউকে না জানালেও পরে মাকে বাবার কুকীর্তির কথা জানায় নাবালিকা। প্রতিবাদ করলে স্ত্রীকে মারধর করে নাবালক-নাবালিকা সন্তান সহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় ওই যুবক।
এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। পুলিস ধর্ষণ ও পকসো মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মামলার সরকারি আইনজীবী দীপান্বিতা বেরা বলেন, মাত্র একমাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী অফিসার। অভিযোগকারী, নির্যাতিতা সহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ সহ অন্যান্য প্রক্রিয়ার পর গত ১৩জানুয়ারি যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এদিকে এই রায়ে নির্যাতিতার মা সহ পরিবারের লোকজন খুশি হয়েছেন। যদিও সাজাপ্রাপ্তের পরিবারের তরফে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।