স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে গম্ভীরা কাঁদরের উপর ৬৬ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানা ও বীরভূম জেলার নলহাটি থানা সীমানার মাঝে এই সেতুটি উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। সেতুটির উপরের ঢালাইয়ের অংশ দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। জাতীয় সড়ক সংস্কার করা হলেও এতদিন সেতুটির সংস্কার হয়নি। এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে ভারী যানবাহন থেকে যাত্রীবোঝাই বাস।
জাতীয় সড়কের নির্বাহী বাস্তুকার বিনোদকুমার সিং মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরলেও কথা বলতে পারেননি। তবে দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ষাট বছরেরও বেশি পুরনো সেতুটির হাল খারাপ। এর আগে চার-পাঁচবার সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। ওখানে নতুন করে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
২০১৯ সালে ডিসেম্বরে প্রথম সেতুটির একপাশের ঢালাই ভেঙে শিক বেরিয়ে পড়েছিল। তখনও ১৫ দিন যান চলাচল বন্ধ রেখে ভাঙা অংশ সংস্কার করে প্রশাসন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ২০২০ সালের জুন মাসে ফের একই জায়গায় ঢালাই খসে শিক বেরিয়ে পড়ে। আবার ২০২৩ সালের জুন মাসে একই ঘটনা ঘটে। তারপর একবছরের মাথায় গত ১৭ আগস্ট একই অবস্থা হয় সেতুটির। এবার ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় আবার মাঝখানের একাংশের ঢালাই ভেঙে শিক বেরিয়ে পড়েছে। অভিযোগ, মেরামতি নিম্নমানের হওয়ায় বারবার ভেঙে পড়ছে ব্রিজের অংশ। যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রিজের ভাঙা অংশ নজরে আসে লরি চালকদের। তাঁরা সিভিক ভলান্টিয়ারদের জানান। তড়িঘড়ি পুলিস বাঁশ দিয়ে ভাঙা অংশ ঘিরে দেয়। এরপর ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ব্রিজের ওই অংশে ওয়ান ওয়ে করা হয়েছে। যার জেরে গভীর রাত থেকে ব্যাপক যানজট হচ্ছে। লরি চালক মেহেদি মাসুদ বলেন, রাত ১২টা নাগাদ যানজটে আটকে পড়েছি। জানতে পারলাম ব্রিজের খানিকটা অংশ ভেঙে পড়েছে। তাই একদিকের গাড়ি ছাড়ছে, অপর দিকে আটকে রাখছে। পুলিস যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। তবে এটা আজকের সমস্যা নয়। মাঝে মধ্যেই এই ব্রিজ ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা নিয়ামত শেখ বলেন, নিম্নমানের সংস্কার হওয়ায় হামেশাই ব্রিজটি ভাঙছে। আর নাজেহাল হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।