স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি দায়ী। মাইথন বা পাঞ্চেত থেকে এভাবে জল না ছাড়লে বন্যা হতো না। জেলার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক কে রাধিকা আয়ার বলেন, আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রয়েছেন। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন গ্রামে দামোদরের জল ঢুকে যাওয়ায় জামালপুরের জোৎশ্রীরাম, জারগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকেছে। জামালপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও আতঙ্কে রয়েছেন। দামোদরের বাঁধে বহু পরিবার বসবাস করেন। তাঁদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শিয়ালি গ্রামের বাসিন্দা উত্তরা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে নদীতে জল বাড়তে থাকে। সারা রাত জেগে কাটিয়েছি। যে কোনও সময় বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান বলেন, বেরুগ্রাম, জামালপুর-২, চকদিঘি, জারুগ্রাম এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব্জি জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। সব গাছ পচে যাবে। ধানজমিরও ক্ষতি হবে। জমি থেকে খুব তাড়াতাড়ি জল নামবে না। বহু বাড়ির উঠানে জল বইছে। জল নামলে অনেক মাটির বাড়ি ভেঙে পড়বে। রায়নার সুবলদহ গ্রামেও জল ঢুকে গিয়েছে। হদিলপুর, নরসিংহপুর, কোটশিমূল এলাকায় জল ঢুকেছে। রায়না-২ ব্লকে ধান জমি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এলাকার বিধায়ক শম্পা ধাড়া বলেন, এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপর দিয়ে দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদী বয়ে গিয়েছে। দু’টি নদীর জলে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সব্জি ও ধান চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, ধানজমির ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। জল নামার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ বৃহস্পতিবার জেলায় আসছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলিতে রয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরও কাজ করছে। রায়না-১ ব্লকে মাঝ দামোদরে দুই ব্যক্তি আটকে ছিলেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর তাঁদের উদ্ধার করেছে। খণ্ডঘোষে ডুবেছে ধানজমি। নিজস্ব চিত্র