সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ডিএফও অনুপম দত্ত বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা ডিএসপিকে চিঠি করেছি। কী ভাবে তাঁদের এলাকার রাস্তায় এত গাছ ভেঙে পড়ছে, তার কারণ জানাতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন কৌশলে বড় বড় গাছগুলিকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। আমরাও পৃথক ভাবে তদন্ত করছি।
দশ বছর আগেও দুর্গাপুর শহরের চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ অন্য। বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে কেটেই ডিএসপির টাউনশিপ গড়ে উঠেছিল। তবে, টাউনশিপের প্রতি কোয়াটারে একাধিক কাঁঠাল গাছ, আম গাছ ছিল। রাস্তার পাশে বড় বড় গাছ তো ছিলই। টাউনশিপের এ-জোন, বি-জোন, সি-জোন— তিনটি জোনেই একই চিত্র ছিল। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ছিল। তীব্র গরমেও ঠান্ডার একটা পরিবেশ ছিল। এখন সেই টাউনশিপই ধীরে ধীরে কংক্রিটের জঙ্গল হয়ে উঠছে। একটা সময়ে নিয়ম ছিল, ডিএসপির কোয়াটার লিজ নিলেও বড় পরিকাঠামো পরিবর্তন করা যাবে না। সবুজ বেঁচে থাকত। এখন আর এক সবের নিয়মের তোয়াক্কাই কেউ করে না। সংকীর্ণ কোয়াটারই বিলাশবহুল বাড়ির রূপ নিচ্ছে। আর তা করতে গেলেই প্রয়োজন সবুজ ধ্বংসের। কারণেই নানা ফন্দি এঁটে শিক্ষিত মানুষের একটা বড় অংশ গাছ মেরে ফেলছে। বনদপ্তরের দাবি, এমন একাধিক থানার অভিযোগ তাঁদের নজরে এসেছে। যা দেখেপ্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গোটা বিষয়টি সাজানো।
সেখানে লেখা হচ্ছে, তাঁর কোয়াটারের সংস্কার হচ্ছিল। সেই কারণে কোয়াটারে আমরা কেউ ছিলাম না। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা বাড়ির বড় গাছ কেটে নিয়ে চলে যায়। একাংশ পড়ে রয়েছে। বনদপ্তর সেই পড়ে থাকা গাছ উদ্ধার ছাড়া আর উপায় থাকছে না। দ্বিতীয় ফর্মুলা হচ্ছে গাছের মধ্যে হরমোন প্রয়োগ করা। যাতে গাছটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। এরপর একটু জোরে হাওয়া দিলেই তা ভেঙে পড়ছে। ছাগল সহ বিভিন্ন প্রাণির প্রিয় খাদ্য কাঁঠাল পাতা। গ্রামাঞ্চলেও জঙ্গল কমছে তাই অনেক ক্ষেত্রে দুর্গাপুরের বড় বড় কাঠাল গাছগুলি টার্গেট করা হচ্ছে। গৃহস্থও এমনভাবে কাঁঠাল পাতা ‘দান’ করছেন যেন গাছটিই মরে যায়।