সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে বছরভর নানা নির্মাণ কাজ চলেছে। সেখানে অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। যেসব এলাকায় কাজ হবে সেখানে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে জব কার্ডধারীদের নেওয়া হবে।
কীভাবে নেওয়া হবে শ্রমিকদের? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ত, পিএইচই, বন, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সারা বছর নানা কাজ চলতে থাকে। সেগুলি নির্দিষ্ট কোনও ঠিকাদার সংস্থা রূপায়ণ করে। এবার থেকে সেই সব প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর অদক্ষ শ্রমিক চেয়ে কর্মশ্রী প্রকল্পে আবেদন জানাবে। সেখান থেকে বিডিও অফিসের মাধ্যমে নেওয়া হবে শ্রমিকদের। যেসব এলাকায় কাজ হবে, সেখানকার শ্রমিকদেরই কাজে নেওয়া হবে। একটানা ১৪ দিনের কাজের আবেদন করতে পারবেন শ্রমিকরা। সারা বছরে কমপক্ষে ৫০ দিনের কাজ দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে প্রশাসন। শ্রমিকদের কাজের পর নির্দিষ্ট শ্রম আইন মেনে দেওয়া হবে মজুরির টাকা। এমনকী, কাজের বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে শ্রমিকদের নাম, জব কার্ড নম্বর ও কতদিন কাজ দেওয়া হয়েছে তার তথ্য নথিভুক্ত হবে একটি পোর্টালে।
বাঁকুড়ার এক বিডিও বলেন, কর্মশ্রী প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা বিডিও অফিসে একটি রেজিস্টার রেখেছি। সেখানেও নথিভুক্ত রাখছি শ্রমিকদের তথ্য। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় প্রায় ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার জব কার্ডধারী শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই বিগত দিনে ১০০ দিনের কাজ করেছেন। কেন্দ্রে এই প্রকল্পে দীর্ঘদিন কাজ করেও মেলেনি মজুরির টাকা বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য রাজ্য সরকারই শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে বকেয়া মজুরি পাঠিয়েছে। এবার নতুন করে কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করে শ্রমিকদের কাজ ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। সেইজন্য জেলার সমস্ত সরকারি দপ্তরকে এই প্রকল্পের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। প্রত্যেকে দপ্তর যাতে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে স্থানীয় জব কার্ডধারীদের প্রাধান্য দেয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।