সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
রামপুরহাট শহরে দীর্ঘদিন ধরেই টোটোর দৌরাত্ম্যে জেরবার মানুষ। পুরসভার হিসেবে, শহরে হাজার দুয়েক টোটোর রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। কিন্তু নিত্যদিন শহরের রাস্তায় প্রায় ১২ হাজার টোটো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই বছরের শুরুতে পুরসভার পক্ষ থেকে জোড়-বিজোড় নীতিতে টোটো চলাচলের কথা ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে গ্রামের টোটো শহরে ঢুকলে জরিমানা আদায় করা হচ্ছিল। বর্তমানে অবস্থা ফের আগের মতো। এখন গ্রাম থেকে টোটো নিয়ে শহরে এসে চালানো হচ্ছে। ফলে দেশবন্ধু রোড, ব্যাঙ্ক রোড, এমএনকে রোড, সানঘাটা রোড, রামপুরহাট-দুমকা রোডের ছফুঁকো এলাকায় তীব্র যানজট হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে টোটোর কারণে। তার উপরে শহরের রাস্তার দু’ধার দখল করে অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। আবার কোথাও দোকানের বাড়তি অংশ রাস্তার উপরে চলে এসেছে। অভিযোগ, কোথাও দলকে অন্ধকারে রেখে রাস্তার দু’ধার দখল করে পাকা দোকানঘর বানিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছে নেতারা। ফলে শহরে ফুটপাত বলে কিছু নেই। রাস্তায় বেরিয়ে যানজটের কবলে পড়ে নাজেহাল হচ্ছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে মহকুমা শাসকের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক তথা টিআরডিএর চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। আগামী ২৫ জুন মহকুমা শাসকের কনফারেন্স রুমে এই নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে প্রশাসন। যেহেতু রামপুরহাট শহরে চলাচলকারী বেশির ভাগ টোটো লাগোয়া গ্রাম, মাড়গ্রাম, তারাপীঠ থানা এলাকা থেকে আসে, তাই সেইসর থানার ওসিদেরও বৈঠকে ডাকা হচ্ছে। পাশাপাশি টোটো সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাখা হবে।