সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস থানা গিয়েছে, পুরুলিয়া শহরের নডিহা এলাকার বাসিন্দা রাজেশ বিএসএফের ৬৫ নম্বর ব্যাটালিয়নে ওড়িশায় কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার ছুটিতে তিনি পুরুলিয়া শহরের বাড়িতে আসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজেশ বন্ধুদের সঙ্গে বাইকে শিমুলিয়া এলাকায় হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় হোটেলে খাওয়াদাওয়া করেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় নির্মীয়মাণ জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তিনজনই জখম হন। তাঁদের পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজেশকে সেখান থেকে রাঁচির একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃতদেহ পুরুলিয়া শহরে এসে পৌঁছয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব কষ্ট করে রাজেশকে তাঁর বাবা-মা বড় করেন। কয়েক বছর আগে রাজেশ চাকরি পান। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। দুর্ঘটনায় রাজেশের মৃত্যুতে কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। এক জওয়ান দুলাল শীট বলেন, গত শনিবার ছুটিতে রাজেশ বাড়ি ফিরেছিল। হরিনাম শোনার পর রাতে একটি বাইকেই তিনজন বাড়ি ফিরছিল। নির্মীয়মাণ রাস্তা বুঝতে না পেরে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পথ দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু: বৃহস্পতিবারই পুরুলিয়া শহরের দেশবন্ধু রোড এলাকায় দুর্ঘটনায় ভাটবাঁধ এলাকার এক কিশোরের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম জেশপ নিলমকান্তি পেচক(১৬)। ওইদিন দুপুরে সে এক বন্ধুর সঙ্গে বাইকে যাচ্ছিল। একটি টোটোর সঙ্গে তাদের বাইকের ধাক্কা হয়। ঘটনায় বাইক আরোহী দু’জনেই গুরুতর জখম হয়েছে। ওই কিশোরকে প্রথমে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে ও পরে রাঁচিতে রেফার করা হয়। রাঁচি নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।