সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফের জওয়ানরা। কিন্তু পাট গাছের উচ্চতার কারণে সর্বত্র তারা নজর রাখতে পারছে না। এর ফলে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য অনেক বেড়েছে। তবে সব থেকে উদ্বেগের বিষয় হল, জলঙ্গি সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলিতে সাধারণ মানুষই পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ছে। রাতের অন্ধকারে পাটখেতের ভিতরে লুকিয়ে চলছে মাদকের রমরমা কারবার। এতদিন মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অধিকাংশ সময় কাশির সিরাপ পাচার চলত। মাঝেমধ্যে ইয়াবা ও হেরোইনের কনসাইনমেন্ট পৌঁছে যেত ওপার বাংলায়। তবে ইদানিং গাঁজা ও পিপরোনাল পাচার চলছে। সেইসঙ্গে ওপার থেকে ঢুকছে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট। গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদের নানা প্রান্ত থেকে নানা ধরনের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেছে বিএসএফ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী। গতবছরও এই সময় কয়েক কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হলেও কারবারিদের পাকড়াও করতে পারেনি সীমান্তরক্ষী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা বিএসএফের তাড়া খেয়ে পাট গাছের আড়ালে গা ঢাকা দেয়।
সীমান্তে কর্তব্যরত এক বিএসএফ আধিকারিক বলেন, গরমের এই সময় চোরাচালান বাড়িয়ে দেয় কারবারিরা। পাটে গাছের আড়ালে আবডালে লুকিয়ে পড়তে সুবিধা হয় ওদের। তবে আমরা তৎপর থাকায় কোনও ভাবেই পাচার সফল করতে পারছে না দুষ্কৃতীরা। মালপত্র ফেলে দিয়ে খেতের মধ্যে লুকিয়ে পড়ছে। পরে সুযোগ বুঝে ওরা গ্রামে ঢুকে যায়। তবে সন্ধ্যা ও গভীর রাতে কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। আমারও নজরদারি বাড়িয়েছি।
জলঙ্গির ঘোষপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সীমান্তে বিএসএফের যখন ডিউটি শিফটিং হয় সেই সময়ই এই পাট খেতের আড়ালে চোরাচালান চলে। কারণ ওইসময় বেশ কিছু সময়ের জন্য বিএসএফের নজরদারি একটু কমে যায়। সেটাকেই হাতিয়ার করছে পাচারকারীরা।
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার মতিউর রহমান বলেন, সীমান্তের গ্রামগুলিতে কোনও কাটাতার নেই। দুই দেশের মাঝে কোনও বিভাজন রেখা চোখে দেখা যায় না। আর মাঝের জমিগুলিতে পাট চাষ হয়েছে। এই পাটগাছ কিছুটা বড় হতেই পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। আমরা সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির মানুষদের সচেতন করছি। যাতে কেউ পাচারের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে।