সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মানকর স্টেশনে উট ঘোরার মিম দেখে অনেকেই ঠাট্টার সুরে বলছেন, এ তো দুয়ারে রাজস্থান! শুধু এটুকুই বাকি ছিল। আবার অন্য একটি মিমে দেখা যাচ্ছে, পানাগড় স্টেশনে বরফ ভর্তি। সেখানে আবার মিলছে আইস স্কেটিং করার সুযোগ! শুধু তাই নয়, ঠান্ডা যাতে না লাগে, সেজন্য সোয়েটার, মাফলার আনার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যা দেখে হেসে কুটিপাটি পানাগড়ের মানুষ। আবার একটি মিমে দেখা যাচ্ছে, সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একটি গ্রহ রয়েছে। গ্রহটির সূর্যের খুবই কাছে। সেই গ্রহের নাম পানাগড়!
গত কয়েকদিনে পানাগড়, মানকরের বাসিন্দাদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। সন্ধের দিকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও রোদের তাপ বেশ কড়া। চিকিৎসকরা এই গরমে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করছেন।
কিন্তু গরমে বাড়ির ভিতরে থাকাও তো দুঃসহ হয়ে উঠছে। গরম হয়ে ওঠা বিছানায় শুয়েও শান্তি নেই। এই বিষয়টিও উঠে এসেছে একটি মিমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিছানার উপর বসে রয়েছে উট। ক্যাপশনে লেখা, ‘বিছানা না মরুভূমি, ধরতে পারবেন না।’
বুদবুদের এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, গরমে ব্যবসার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। বেলা বাড়লে ক্রেতার দেখা মিলছে না বললেই চলে। আবার গরমের জন্য সব্জিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খালি বসে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রেখেছি। সেখানে এসব মিম দেখে অবশ্য হাসিও পাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়েছে। পানাগড়ে এখনও সেভাবে বৃষ্টি নেই। এখানকার বাসিন্দাদের অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, ‘উত্তরবঙ্গে চেরাপুঞ্জি, পানাগড়ে ভেজা গেঞ্জি। ’
বাংলার শিক্ষক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ভোটের প্রচার, ফলাফল বা গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা-সবকিছু নিয়েই মিম হচ্ছে। গরমে কোল্ড ড্রিঙ্কসের দোকানে ভিড় হওয়া নিয়েও মিম দেখেছি। কবে গরম কমে তাপমাত্রা সহনীয় হবে, আমরা তারই অপেক্ষায় আছি।