সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ওভার লোডেড গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানো হয়েছে। প্রায় দ্বিগুণ ফাইনও আদায় করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও যেসব বিশেষ জায়গা থেকে এই অসাধু কাজ করা হচ্ছে আমরা সেখানে অভিযান চালাব। অভিযান আরও জোরদার হবে।
রানিগঞ্জর বক্তারনগর থেকে অণ্ডাল ব্লকে মদনপুর যাওয়া রাস্তা এখন ঝা চকচকে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কয়েক মাস আগেই নতুন রাস্তা করা হয়েছে। সেই রাস্তায় অজস্র বাম্পার। আর রাস্তাজুড়ে পড়ে রয়েছে বালি। যে কোনও সময়ে বাইক আরোহীদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়া আশঙ্কা। কেন এমন অবস্থা? গ্রামের বাসিন্দা এক সাইকেল আরোহী বলেন, এই এলাকা বালি কারবারিরা নিয়ন্ত্রণ করে। দিনরাত ওভার লোডেড বালির লরি যাতায়াত করে। খুব দ্রুত লরি গিয়ে যাতে প্রাণ না কাড়ে তার জন্য বাম্পারগুলি দেওয়া। কিন্তু তাতে নতুন বিপদ রাস্তাজুড়ে পড়ে থাকছে বালি। কথার মাঝেই একাধিক বালির ডাম্পার দেখে চুপ করে গেলেন বাসিন্দা। প্রতিবাদ হয় না? বাসিন্দার দাবি, প্রতি পাড়ায় বালি কারবারিরা লেঠেল বাহিনী পোষে। প্রতিবাদ করলেই থামিয়ে দেওয়া হবে। আর নেতাদের একাংশ টাকা খেয়ে সব করতে দিচ্ছে। যাঁর বাবা গোচারণ করত, তার যে কত কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে নিজেই জানে না। কেন এমন অরাজকতা? মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পার্থ দেওয়াশি বলেন,গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করেনি তা নয়। গ্রামবাসীরাও প্রতিবাদ করেছে, পঞ্চায়েত থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে। কিছুদিন কারবার নিয়ন্ত্রণ ছিল। এখন তা আবার বাড়ছে। পঞ্চায়েত প্রধানই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি। তাঁর এলাকায় এই কারবার নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও প্রশ্ন উঠছে। শুধু মদনপুর নয়, আসানসোল দক্ষিণ থানার ডামরা এলাকায় স্কুলের সামনেই আবার ওভার লোডেড বালির লরির দাপাদাপি। যে কোনও সময়ে বিপদে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন। এছাড়াও পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর ফরিদপুর থেকে শুরু করে জামুড়িয়া, যেখানে বালির কারবার হচ্ছে বেশিরভাগ জায়গাতেই ওভার লোডেড গাড়ি যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। আদৌ কি এই অরাজকতা বন্ধ হবে, প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।