সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
অনুষ্ঠান শেষে রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়ককে নিয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে দালালে ভরে গিয়েছে। এ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। দালাল ধরার জন্য আমরা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে দালালদের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি বিভিন্ন অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ নিয়ে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। বিভিন্ন আধিকারিক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেন। হাসপাতাল চত্বরে বাজার বসা ও আউটডোরের সামনে টোটো স্ট্যান্ড সহ দোকানপাট গজিয়ে ওঠার ঘটনা তাঁর নজরে এসেছে। এ প্রসঙ্গে এদিন ডাঃ কৌস্তভ নায়েক বলেন, এখানে ঘুরে সবকিছুই আমার নজরে এসেছে। বাজার, অবৈধ পার্কিং সহ বেশকিছু বিষয়ে এখানকার প্রিন্সিপালকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ সভাপতি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, এখানে বাজার দীর্ঘদিনের। আমি ওএসডি থাকাকালীন বহুবার বাজারটি সরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বাজার সরানোর ক্ষেত্রে এখন জনমত গড়ে তুলতে হবে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্পেশালিস্ট চিকিৎসা পরিষেবা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা বলেন, এখানে সুপার স্পেশালিটি ব্লক হয়েছে। কিন্তু হৃদরোগের চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। বিষয়টি দেখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগামী তিন-চারমাসের মধ্যেই ক্যাথল্যাব চলে আসবে এবং কার্ডিওলজি বিভাগ পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হবে।
এদিকে, সুপার স্পেশালিটি ব্লকের অনেকটা জায়গা নিয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের উত্তরবঙ্গ শাখার অফিস করা হয়েছে। এনিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে ডাঃ সুশান্ত রায় ও ডাঃ সুদীপ্ত রায় বলেন, এটা সাময়িক। এখানে এই অফিস অস্থায়ীভাবে করা হল। কাজেই বিতর্কের কারণ নেই। তবে হাসপাতালের মধ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফিস থাকলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। চিকিৎসায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতি বা কোনও অভিযোগ থাকলে কাউকে আর কলকাতায় যেতে হবে না। সরাসরি এখানে জানানো যাবে।