সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, জলাশয় ভরাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ওই জলাশয়টি ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভূমি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অম্লানবাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই জলাশয় অল্প অল্প করে ভরাট করা হচ্ছিল। গত দু’বছর ধরে পুরসভাকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি লিখিতভাবেও পুরসভায় বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তারপরেও অজানা কারণে পুর কর্তৃপক্ষ চুপ ছিল। সম্প্রতি বেশি করে মাটি ফেলে সেটি ভরাটের চেষ্টা হয়। আমি উদ্যোগী হয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছি।
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, পুকুর ভরাটের খবর পেয়ে ইঞ্জিনিয়াররা সেখানে গিয়েছেন। জমির চরিত্র বদলের চেষ্টা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
ইংলিশবাজার শহরে জমির দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় জলাশয় ভরাটের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে শহরের বেশিরভাগ জলাশয় ভরাট হয়ে গিয়েছে। জমি মাফিয়ারা ওইসব ভরাট জলাশয় প্লট করে বিক্রি করে দিচ্ছে। টিয়াকাটি শহরের অন্যতম পরিচিত এবং বড় জলাশয়। নেতাজি সুভাষ রোড সংলগ্ন ওই জলাশয়ের চারপাশে বাড়িঘর, অনুষ্ঠান ভবন, দোকানপাট রয়েছে। বাড়ির আড়ালে ধীরে ধীরে জলাশয়টি ভরাট করার ছক কষা হয়। এতদিন ধীর গতিতে কাজটি হচ্ছিল। বর্তমানে দিনেই জোর তত্পরতায় ভরাটের কাজ শুরু হয়। এর পিছনে ইংলিশবাজার পুরসভার এক কর্তার ডান হাত রয়েছে বলে শহরবাসীর অভিযোগ। সেই কারণে বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে পুর কর্তৃপক্ষ আমল দেয়নি বলে কাউন্সিলারদের একাংশও মনে করছেন।
এদিকে, ইংলিশবাজার শহরে একের পর এক জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন। শহর সংলগ্ন মহানন্দা নদীতে সারাবছর জল থাকে না। ফলে কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দমকলের ইঞ্জিনকে জল আনতে বহু দূরে যেতে হবে। তারমধ্যে শহরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড়সড় ক্ষতি হবে। টিয়াকাটি জলাশয়টি একসময় অনেক বড় ছিল। ফলে সেখান থেকে জল নিয়ে দমকলের ইঞ্জিন আশপাশের যে কোনও ওয়ার্ডে যেতে পারত। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। ফলে অবিলম্বে মাপজোখ করে জলাশয়টি ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া গেলে সুরাহা হবে বলে পরিবেশকর্মীরা মনে করছেন। এর পাশাপাশি জমি মাফিয়া ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তাঁরা তুলেছেন।