সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত বলেন, জল প্রকল্পের ফুলবাড়ি প্লান্টে আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। তা মেরামত করে রাতে জল সরবরাহের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। কারণ প্লান্টে তিস্তার ঘোলা জল, পলি প্রবেশ করে। এজন্য জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে চেষ্টা চালানোর পর শুক্রবার বিকেল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
কয়েকদিন আগে গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজের গাইড বাঁধ মেরামতের জেরে শহরে জল সঙ্কট তীব্র আকার নেয়। সেই সময় বেশ কয়েকদিন জল সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শহরে জল সরবরাহ ব্যাহত হল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই জল সরবরাহ বন্ধ। যার জেরে শুক্রবার সকালে ফের বিভিন্ন বেসরকারি ওয়াটার এটিএমে পাত্র নিয়ে লাইন দেন নাগরিকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে জল কেনেন। কারও মাথায় ছিল ছাতা, আবার কারও গায়ে ছিল রেনকোট। আবার কেউ কেউ বাইক, টোটো ও অটোয় চেপে গ্রামীণ এলাকা থেকে জল সংগ্রহ করেন। জলের জন্য বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হন। এনিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলেন, বার বার শহরে জল সরবরাহ ব্যাহত হলেও পুরসভার হেলদোল নেই। তাঁদের অভিযোগ, পুরকর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই মাঝেমধ্যে শহরে মিলছে না পানীয় জল। এই বিষয়টি মানা যায় না। অবিলম্বে এই সমস্যা মেটানো উচিত।
শিলিগুড়ি শহরের জল প্রকল্প ফুলবাড়িতে। তিস্তা নদীর তিস্তা-মহানন্দা লিঙ্ক ক্যানেলের উপর নির্ভর করেই সেই প্রকল্প চলছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ করা হয়। বিকেলে জল সরবরাহের সময় প্লান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। এজন্য জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হয়। রাতে তা মেরামত করা হয়। সেসময় চেষ্টা চালিয়েও প্লান্ট চালু করা সম্ভব হয়নি। তখন প্লান্টে তিস্তার ঘোলা জল প্রবেশ করে। ইনটেক ওয়েলের সামনে পলিও জমে যায়। যার জেরে প্লান্টের যন্ত্র আবার বিগড়ে যায়। রাতভর চেষ্টা চালিয়ে ঘোলা জল ও পলি সরানো হয়। প্লান্টের যন্ত্রও মেরামত করা হয়। এদিন দুপুরে প্লান্ট স্বাভাবিক করা হয়েছে। এজন্যই সকালে জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। বিকেলে তা সরবরাহ হয়েছে। জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য বলেন, পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। পুরকর্মীদের তৎপরতাতেই দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে, শহরের বহু ওয়ার্ডে নিয়মিত জল মিলছে না। ৪৬ নম্বছর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার অভিযোগ, তিন দিন ধরে পুরসভার পানীয় জল মিলছে না। পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।