জ্ঞাতি ও বন্ধুদের মধ্যে শত্রুবৃদ্ধি ও উদ্বেগ। গুণীব্যক্তি বা উচ্চ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি। আয় ... বিশদ
রায়গঞ্জ জেলা পুলিসের ডিএসপি (ট্রাফিক) মহম্মদ ওমার ফারুক বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যৌথ পরিদর্শন শুরু করব। যেখানে জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে থাকা অবৈধ কাটআউটগুলি চিহ্নিত করা হবে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই জেলার অধীনে চোপড়া থেকে ইটাহার পর্যন্ত দু’টি জাতীয় সড়ক রয়েছে। ইটাহার থেকে রায়গঞ্জ হয়ে ডালখোলার পূর্ণিয়া মোড় পর্যন্ত যে ফোর লেন রাস্তাটি রয়েছে সেটা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ণিয়া মোড়ে গিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বিহার থেকে আসা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশেছে। ডালখোলার পূর্ণিয়া মোড় থেকে ইসলামপুর হয়ে চোপড়া পর্যন্ত ফোর লেন রাস্তাটি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক।
এই জেলায় দু’টি পুলিস জেলা, ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ। ইসলামপুর পুলিস জেলার অধীনে মূলত ৩১ নম্বর এবং রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অধীনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক রয়েছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পরিদর্শন শুরু হবে করণদিঘি বাইপাস থেকে। যার শেষ ইটাহার ব্লক পর্যন্ত। প্রশাসন সূত্রে খবর, জাতীয় সড়কের ডিভাইডার ভেঙে তৈরি করা বেআইনি কাটআউট চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দু’টি ধাপে যৌথ পরিদর্শন করবে রায়গঞ্জ পুলিস। প্রথম ধাপে করণদিঘি থেকে রায়গঞ্জ ও দ্বিতীয় ধাপে রায়গঞ্জ থেকে ইটাহার পর্যন্ত পরিদর্শন করা হবে।
জাতীয় সড়কে লরি, বাস সহ বিভিন্ন গাড়ির গতি সাধারণত একটু বেশিই থাকে। ৩১ ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কানকি, গুঞ্জুরিয়া, পাঞ্জিপাড়া, টুঙ্গিদিঘি সহ একাধিক জায়গা রয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য কিছু কাটআউট তৈরি করে রেখেছে। সেগুলিতে ২৪ ঘণ্টা ট্রাফিক পুলিস মোতায়েন থাকে। কিন্তু এর বাইরেও স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় সড়কের ডিভাইডার ভেঙে বেআইনিভাবে আরও অনেক কাটআউট তৈরি করেছেন। যেখান দিয়ে কোনও ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করেই টোটো বাইক পারাপার করে। ফলে দ্রুতগতিতে থাকা গাড়ি কখনও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবার কখনও সরাসরি বাইক বা টোটোয় ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।