যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
আফগান জঙ্গি এবং হক্কানি নেটওয়ার্কের নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই অভিযোগে পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি মাসে পাকিস্তানেকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান নিয়ে সাড়ে চারশো কোটি ডলারের সরঞ্জাম সরবরাহের ছাড়পত্র দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত। রবিবার মার্কিন সফররত ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘প্রত্যেকেই জানে কোথায়, কার বিরুদ্ধে পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। এইসব কথা বলে আপনারা কাউকে বোকা বানাতে পারবেন না।’
গত পাঁচ বছরে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক অনেকটাই এগিয়েছে। তাই ভারতের আপত্তি তারা উড়িয়ে দিতে পারছে না। বরং কূটনীতির ভাষায় ভারতকে পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা। প্রাইস বলেন, ‘আমরা দুই দেশকেই আমাদের সহযোগী মনে করি। কারণ উভয় দেশের সঙ্গেই আমাদের মূল্যবোধের মিল রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থও অভিন্ন। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক একরকম। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের চরিত্র আবার আলাদা।’
গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার প্রতীক সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনমন ঘটায় পাকিস্তান। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে তারা। এরপর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক থমকে গিয়েছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানকে আমেরিকার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত সহায়তার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ভারত। সেই অসন্তোষের কথাই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর।