সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডকে নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ। এই পরিষদের শীর্ষকর্তা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সদস্য মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রতিবছর এই চার রাজ্যের মধ্যে একটিতে পরিষদের বৈঠক হয়। তবে তার আগে হয় পরিষদের স্থায়ী কমিটির সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এবার সেটি ৪ জুলাই হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, দার্জিলিঙের যানজট সমস্যা মেটাতে, রেল লাইনকেও রাস্তার স্তরে নামিয়ে আনার দাবিতে সেখানেই সরব হবে রাজ্য।
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং সংযোগকারী ১১০ (পুরনো জাতীয় সড়ক ৫৫) নম্বর জাতীয় সড়ক দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পূর্তদপ্তরের জাতীয় সড়ক শাখা। নবান্ন সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পূর্তদপ্তরকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। শুকনা, তিনধরিয়া, কার্শিয়াং, সোনাদা এবং ঘুম হয়ে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পৌঁছনোর মূল রাস্তা হল ৭৭ কিমি দীর্ঘ ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শুকনা পর্যন্ত রেল লাইন গিয়েছে রাস্তার পাশ দিয়ে। ফলে সেখানে রেল লাইনের কারণে যানজটের সমস্যা হয় না। কিন্তু তার পর থেকেই, টয় ট্রেনের কারণে তীব্র যানজট হয় পাহাড়ি এলাকার এমন ৩৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯ কিমি ওই পথে পর্যটক থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রী সকলেই দুর্ভোগে পড়েন। এই ৩৭টি স্থানের মধ্যে রয়েছে জোড়বাংলো, ঘুম, বাতাসে, সোনাদা, তিনধরিয়া বাজার, মহানদী বাজার, ধোবিখোলা এবং সেলিম হিলসের মতো এলাকা। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানান, দার্জিলিং যাতায়াতের রাস্তার অনেকটা জুড়ে রয়েছে টয় ট্রেনের লাইন। ওই অংশটিকে রাস্তার স্তরে নামিয়ে আনা হলে যান চলাচলের স্পেস অনেকটাই বেড়ে যাবে। ব্যাপারটি কলকাতায় বাসরাস্তার মধ্যে দিয়ে ট্রাম লাইন এগিয়ে যাওয়ার মতোই হবে।
এই জাতীয় সড়কের উপর গড়ে ১৩,৯২০ প্যাসেঞ্জার কার ইউনিটের (পিসিইউ) চাপ পড়ে। মরশুমে এটি আরও বেড়ে যায়। রাস্তার বর্তমান পরিসরে এই চাপ নেওয়া কার্যত অসম্ভব। ফলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া জরুরি। মনে করছে রাজ্য সরকার