সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
২০১৯ সালে এই দু’টি প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, কোনও কৃষক ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মারা গেলে তাঁর পরিবার এককালীন ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পান সরকারের কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ১২ হাজার কৃষক পরিবার এই খাতে মোট ২,২৪০ কোটি টাকা পেয়েছে। আর বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি কৃষক ৩,১৩৩ কোটি টাকা পেয়েছেন। এই বিমা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনও টাকা দিতে হয় না। রাজ্য সরকারই তা দিয়ে দেয়। আলু চাষিদের অবশ্য এতদিন অল্প টাকা প্রিমিয়াম বাবদ দিতে হতো। এবারের রাজ্য বাজেটে তাও তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। ফলে আগামী মরশুমে আলু চাষিরা কোনও প্রিমিয়াম না দিয়েই বিমার সুযোগ পাবেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন ১ কোটি ছাড়িয়েছে। জমির মালিক নন, এমন বর্গাদার বা ভাগচাষিরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পান। কৃষকদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রকল্প রয়েছে, তাতে শুধু জমির মালিকই তা পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আরও কিছু বিধিনিষেধও রয়েছে। মৃত কৃষকের জন্যও কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে। এসব কারণেই রাজ্যের প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।