সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এক পদস্থ সিবিআই আধিকারিক জানান, কিছুদিন আগে ঝাড়খন্ড-বিহার সীমানায় একটি কয়লা বোঝাই লরি আটক করে সিবিআই। তাতে অবৈধ খাদানের কয়লা ছিল। চালক টাকা ও সিরিয়াল নম্বর দেখান। জেরা করা হয় তাকে। জানতে চাওয়া হয় এটা কীসের নম্বর। বলে, এ টাকা লালার দেওয়া। কেউ ধরলে বলবে—‘লালাবাবুর টাকা’। সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দেবে। বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই নোট। তারই সূত্র খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, এই টাকার সাংকেতিক চিহ্নে চলছে কোটি কোটি টাকার কয়লা কারবার। এও জানা যায়, ঝাড়খণ্ডে প্রচুর অবৈধ কয়লা খাদানের কয়লা আসছে এভাবে। খোঁজখবর শুরু করে সিবিআই। জানা যায়, এগুলি সব লালার লরি। তারই কয়লা।
সিবিআই সূত্রের খবর, অন্যান্য কয়লা চোরদের লালাকে ‘গুন্ডা ট্যাক্স’ দিতে হতো। তারা বৈধ খাদান থেকে কয়লা চুরি করতো। তাদের লরিতে মাল পাঠানোর ব্যবস্থা করা, পুলিস, নেতা, চেক পোস্ট-এর অফিসার—সব সেটিং করিয়ে দিত লালা। নিজের কয়লা ছাড়া তাদের কয়লাও পাচার করিয়ে দিত। লরিপিছু নিত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ভাগও যেত ওই কয়লা মাফিয়ার বশে থাকা পুলিস, নেতা, চেক পোষ্টের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সিন্ডিকেটের কাছে। লালার এই সিন্ডিকেট ঝাড়খন্ডে চলত সেখানকার এক বড় মাফিয়ার হাত ধরে। তার মাধ্যমে কয়লা পাচার হত ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য জায়গায়। লালাকে তলব করা হচ্ছে শীঘ্রই। এমনই জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে।