সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডিসেম্বর মাসে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আভাস দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। তাতে আশা করা গিয়েছিল, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হয়তো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলবে। কলেজগুলিও সেইমতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। তবে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আপাতত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা ভাবছে সরকার। উপাচার্যরাও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। তবে, অনলাইনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ক্লাস চালিয়ে যেতে হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্যদের।
আপাতত ক্যাম্পাসে এসে পঠনপাঠনের সুযোগ তৈরি না হলেও ভর্তির সময়সীমা বাড়তে চলেছে। বহু কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আসন ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। আবার এমনও হয়েছে, ‘কাট অফ মার্কস’ কত উঠবে, তা আন্দাজ করতে না পেরে শুধুমাত্র নামী কলেজে আবেদন করে রাখা পড়ুয়ারা কোথাও সুযোগ পাননি। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে প্রচুর নম্বর উঠেছে। তাই যাঁরা এর মধ্যেও কিছুটা কম নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের পক্ষে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ভেবেছিলেন কোনও না কোনও নামী কলেজে তাঁদের সুযোগ হয়ে যাবে। তাই অনামী কলেজে বা অপছন্দের বিষয়ে আবেদন করেননি। তাঁদের একটা বড় অংশই কোথাও ভর্তি হতে পারেননি। শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে ভর্তির পোর্টাল খুলে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। যাঁরা আবেদন করতে পারেননি, তাঁরাও ফের আবেদনের সুযোগ পাবেন। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন হলে সরকারি স্কলারশিপেও সেই তথ্য পরিবর্তন করতে হবে। তাই সেগুলির জন্য আবেদনের সময়সীমাও বাড়ানো হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলে ফের নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে পড়ুয়াদের। তাই স্বাভাবিকভাবেই রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বাড়ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। বিভিন্ন কলেজ সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য আগেই আবেদন করেছিল। যা পরিস্থিতি, অনেক কলেজই জানুয়ারির আগে পুরোদমে অনলাইন ক্লাস শুরু করতে পারবে না। তাই সেমেস্টার পরীক্ষাগুলিও সম্পূর্ণ সিলেবাসে নেওয়া সম্ভব হবে না। এর জন্য ইউজিসি’র নির্দেশিকা মেনে শিক্ষামন্ত্রী সিলেবাস কাটছাঁট করার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্যদের। সিলেবাসের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিজ আলোচনা করে ঠিক করবে। এখন যেভাবে অনলাইনে পরীক্ষা হচ্ছে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায় সেভাবেই নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপাচার্যদের।