সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
এদিন শ্যামবাজার, মানিকতলা, শোভাবাজার প্রভৃতি বাজারে দুপুরের পর থেকে আস্তে আস্তে ভিড় বাড়ে। গৃহস্থের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা আসেন বাজার করতে। এদিন আপেল, পেয়ারা, জামরুলের মতো কয়েকটি ফলের দাম ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। ভালো মানের আপেল বিক্রি হয়েছে আড়াইশো থেকে তিনশো টাকায়। পেয়ারা ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। জামরুল ২০০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়া প্রতি কেজি শশা ৬০‑৭০ টাকা। কমলালেবু পিস দশ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, তরমুজ ৪০‑৫০ টাকা। কাঁঠালি কলা পিস পাঁচ টাকা, খেজুর ১৬০ টাকা, মুসম্বি লেবু ২০ টাকা, শাঁকালু ৪০‑৫০ টাকা। এর পাশাপাশি গাঁদার বড় আকারের মালা প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ২০‑২৫ টাকায়। বড় রজনীগন্ধার মালা বিক্রি হয়েছে ৫০‑৬০ টাকায়। ছোট রজনী ও গাঁদার মালা দাম ছিল প্রতি পিস ১০ টাকা। ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, রবিবার অন্যদিনের তুলনায় ফুলের দাম বাড়বে। এদিকে সরস্বতী পুজো থাকা সত্ত্বেও শনিবার শহরে বিভিন্ন সব্জির বাজারে দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল বলে দাবি। এদিন প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। কড়াইশুঁটি ৩০ টাকা, টম্যাটো ৩০ টাকা, কুমড়ো ৩০ টাকা, পালং শাক ২০‑২৫ টাকা, নতুন আলু ১৫‑১৭ টাকার মধ্যে। রাঙা আলু ৫০ টাকা। বাঁধা কপি ১৫ টাকা কেজি, ফুলকপি প্রতি পিসের দাম ১৫‑২০টাকা। শ্যামবাজারে ক্রেতা সুজয় দাস বলেন, সরস্বতী পুজোয় আমাদের বাড়িতে প্রতি বছর খিচুড়ি হয়। এবার দেখছি সব্জির দাম অনেকটা আয়ত্তের মধ্যে। শোভাবাজারে বাজার করতে এসে ছিলেন রবীন্দ্র সরণির বাসিন্দা তপতী মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া পুত্র। তিনি বলেন, গত বছর ফলের দাম ছিল বেশ চড়া। এবার কিছুটা হলেও দেখছি কম। গত বছর একটা বড় গাঁদার মালা কিনেছিলাম ৪০ টাকায়। এবার কিনলাম ২৫ টাকায়। মানিকতলা বাজারে কথা হচ্ছিল বাগমারির বাসিন্দা তপন ঘোষের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার বাজারে প্রচুর সব্জি এসেছে। দামও কিছুটা আয়ত্তের মধ্যে। আমাদের বাড়িতে একটি কোচিং সেন্টার আছে। আমার ছেলে ওই কোচিং সেন্টার চালায়। ফলে প্রতিবছর ছাত্র‑ছাত্রীদের খাওয়ানো হয়ে থাকে। এবার সব্জির দাম কিছুটা কম থাকায় স্বস্তি পেয়েছি। -নিজস্ব চিত্র