সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
চিত্র ২: সময় তখন ১২টা ৪৩ মিনিট। সোনারপুর স্টেশনে ঘোষণা করা হল, আপ নামখানা শিয়ালদহ লোকাল আসছে। প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ভালোই ভিড় রয়েছে। অনেকেই সরস্বতী প্রতিমা কিনে পুজোর বাজার নিয়ে অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। কিন্তু ছোট, মাঝারি, বড় প্রতিমা নিয়ে অনেকেই ওঠার চেষ্টা করলেও ভিড়ের ঠেলায় পিছু হটতে হয় তাঁদের। শনিবার সোনারপুর স্টেশনে এমনই চিত্র ধরা পড়ল।
বালিগঞ্জ এবং কাঁকুরগাছির মধ্যে ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য শনি ও রবিবার শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ১০৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তার মধ্যে বারুইপুর এবং সোনারপুর লোকালের সংখ্যা সব থেকে বেশি। ফলে শনিবার সকালে ডায়মন্ডহারবার, নামখানা এবং লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনগুলি বারুইপুর স্টেশনে ঢুকতেই যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। অনেক যাত্রীই ট্রেনে উঠতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া হতাশ হয়ে বললেন, আজ আর প্রথম ক্লাস করা হবে না। পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না, তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন কয়েকজন। এনআরএসের এক নার্স বলেন, ঠিক সময়ে কাজে যোগ দিতে পারব না।
ভিড় ট্রেন এড়াতে অনেককে সড়কপথে অফিস বা অন্যান্য কাজে যেতে দেখা গেল। বারুইপুর স্টেশনের বাইরে গড়িয়া যাওয়ার অটো ধরার লাইন ছিল দীর্ঘ। অফিস টাইমে এমন লাইন আগে দেখা যায়নি বলেই দাবি চালকদের। আর সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
সাধারণত অফিস টাইমে একাধিক বারুইপুর-শিয়ালদহ লোকাল রয়েছে। তাই অফিসযাত্রীদের একটা বড় অংশ এই ট্রেনগুলিতে উঠে পড়েন। কিন্তু এদিন সেই লোকালই না থাকায় সমস্যা হয়।
অন্যদিকে, বজবজ-শিয়ালদহ শাখায় যাত্রীদেরও হয়রান হতে হয়েছে। বজবজ থেকে নিউ আলিপুর পর্যন্ত আপ ও ডাউন ট্রেন চলেছে। তারপর সেখান থেকে যাত্রীদের বাসে করে বালিগঞ্জ না হলে অন্য পথে শিয়ালদহ যেতে ও আসতে হয়েছে।