সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা প্রাঞ্জলের বাবা প্রমিত গঙ্গোপাধ্যায় ওষুধের গবেষক। মা সুচরিতা গঙ্গোপাধ্যায় হাওড়ার তেতুলকুলি হাইস্কুলের রসায়নের শিক্ষিকা। মা-বাবার বিজ্ঞানচর্চার পরিসরেই তার বেড়ে ওঠা। ছোট থেকেই সে বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের ছাত্র। যে কোনও বিষয়ের তার গভীরে যাওয়ার নেশা ছিল চোখে পড়ার মতো। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত কবিতা নিয়ে চর্চা করে প্রাঞ্জল। সাফল্যের বিষয়ে সে জানিয়েছে, গভীরে ঢুকে বিস্তারিত পডার জন্যই আমার এই সাফল্য। নিউক্লিয়ার ফিজিক্স নিয়ে আগামী দিনে গবেষণা করতে চাই।
অন্যদিকে, পানিহাটির ঘোলা বাজার এলাকার বাসিন্দা স্বর্ণালী ঘোষ বারাকপুরের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্রী। অল্প বয়সে বাবা শ্যামল ঘোষের মৃত্যু হয়। এরপর তার মা রুমা ঘোষ একা হাতে পারিবারিক ব্যবসা সামলে সংসারের হাল ধরেছিলেন। তার উপর ছিল মেয়ের পড়াশোনার চাপ। মায়ের লড়াই সফল করেছে স্বর্ণালী। ফলাফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত স্বর্ণালী জানিয়েছে, মা ছিল বলে এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমার জীবনে মায়ের অবদান সবথেকে বেশি। সাফল্য নিয়ে তার বক্তব্য, যে কোনও বিষয়কে ভালোবেসে পড়তে হবে। যে বিষয়টি ভালো লাগে, সেটা নিজের মতো করে সিলেবাসের গণ্ডি অতিক্রম করে জানার আগ্রহ নিয়ে পড়তে হবে। আগামী দিনে আমি গবেষণা করতে চাই। অবসরে গল্পের বই পড়ার পাশাপাশি কবিতা লেখা ও গান শোনাই অভ্যাস। এদিন মিশনের সম্পাদক স্বামী নিত্যরূপানন্দজি মহারাজ স্বর্ণালীর হাতে ১০ হাজার টাকা, নানান বই ও ঠাকুরের ছবি তুলে দেন। মিশনের জন্মান্ধ চারটি মেয়েও মাধ্যমিকে সফল হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র