যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলে খেই হারিয়ে যাবে। মনে হবে যেন এক আদিম পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছি। তাদের থিমে তুলে ধরা হয়েছে আদিম মানুষ ও প্রকৃতির এক অটুট মেলবন্ধন। যেখানে সবুজে ভরা পৃথিবীতে আমাদের পূর্বপুরুষরা আরাধনা করবেন দেবী দুর্গার। মণ্ডপের বাইরের আদল আদিবাসীদের মুখাবয়বের মতো। মণ্ডপের ভিতরে পা দিলেই দেখবেন দু’ ধরনের প্রতিমা। একদিকে সাবেকি প্রতিমা, তার পাশেই থিমের দুর্গা। নৌকায় দেবী দুর্গা বধ করছেন মহিষাসুরকে। সেই দুর্গার সামনে সবুজ ঘেরা প্রকৃতিতে আরাধনারত আদিবাসী মানুষ ও পশুপাখিরা।
মধ্য হাওড়ার রামকৃষ্ণ অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজোর থিম ‘কারিগর’। সর্বজনীন দুর্গাপুজোকে বিশ্বজনীন করার নেপথ্য নায়কদের নিয়েই সমগ্র ভাবনা। প্রতিমা শিল্পী, আলোক শিল্পী, মণ্ডপশিল্পী, প্রতিমার অলঙ্কার শিল্পী সহ পুজোর যে কোনও কাজে যাঁদের অবদান রয়েছে, তাঁদেরই উৎসর্গ করেই থিম সাজানো হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় বসু বলেন, মণ্ডপে আমরা মোহনবাঁশি রুদ্রপাল, যতীন্দ্রনাথ পাল, কার্তিক পাল সহ বিভিন্ন প্রথিতযশা মৃৎশিল্পীদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ইউনেস্কোকেও।
রামরাজাতলা পল্লিমঙ্গল সমিতির ভাবনায় ‘সচেতন মানুষ অচেতন পৃথিবী’। গৃহপালিত পশুপাখি বা রাস্তার পশুকে মানুষ খাবার দিয়ে থাকেন। কিন্তু কখনও কখনও সেই খাবারে মিশে থাকে প্লাস্টিক। খাবার ভেবে সেই প্লাস্টিকও খেয়ে ফেলে পশুরা। যা তাদের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করে। তাই সচেতন হতে হবে মানুষকে। সামগ্রিকভাবে প্লাস্টিক মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে রামরাজাতলা পল্লিমঙ্গল সমিতি।