সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ইতিমধ্যে অনেকেই ট্রেন কিংবা বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছেন। হোটেলের জন্য ট্রাভেল এজেন্টদেরও টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সিকিমের যা পরিস্থিতি, সেসব দেখে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে। পর্যটক প্রসেনজিত্ দাস বলছিলেন, অষ্টমীর দিন দার্জিলিং-গ্যাংটক-ইস্ট সিকিম যাওয়ার কথা। কিন্তু চারদিকে যা শুনছি, বেশ ভয় লাগছে। ট্রাভেল এজেন্টকে ফোন করলাম, তিনি বলেছেন আরও দিন পনেরো দেখতে। তাই সব বুকিং বাতিল করতে হবে কি না, সেটা কিছুদিন দেখে সিদ্ধান্ত নেব। এরকম ফোনেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন ট্রাভেল এজেন্টরা। আর এক পর্যটক মাধুরী কোল্লের কথায়, ষষ্ঠীর দিন নর্থ সিকিম-লাচেন-লাচুং যাওয়ার কথা রয়েছে। সমস্ত জায়গায় টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন পরিবার যেতে বারণ করছে। কিন্তু সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি, যাওয়া হবে বলে মনে হয় না। কতটা টাকা ফেরত পাব, তাও জানি না।
ঘোর সমস্যায় পড়েছেন ট্র্যাভেল এজেন্টরাও। সাঁই ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের তরফে অভিজিত্ মণ্ডল বলছিলেন, এই পুজোর সময়েই কিছু টাকার মুখ দেখি আমরা। অনেকেই ফোন করছেন। কিন্তু আমি নিজেও তো সিকিমের হোটেলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমিও তো হোটেলগুলিকে টাকা দিয়ে দিয়েছি। সিকিমে তিনটি হোটেল রয়েছে মৌমিতা ঘোষের। তিনি বলছিলেন, একটা হোটেল তো তিস্তার ধারে। ওখানকার কারও সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারছি না। পরিস্থিতি যা, তাতে তিনটি হোটেল মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হতে চলেছে। আমাদের তো এখানে লিজের টাকা দিয়ে হোটেল চালাতে হয়। ডিসেম্বর মাসে আর পুজোতেই ব্যবসা হয় আমাদের। এখনই এই পরিস্থিতি হলে খুবই মুশকিল।