সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পোড়-খাওয়া রাজনীতিবিদ সৌগত রায় বললেন, ‘আমার টেনশনের দাওয়াই বই। দুটো বই পড়ছি এখন। একটি হল ভারত-পাকিস্তানের ইতিহাস নিয়ে ‘শ্যাডোস অ্যাট নুন’। অন্যটি ব্রাত্য বসুর একটি নাটক। মাঝেসাঁঝে সাঁতার কাটলেও ডি-স্ট্রেসড থাকা যায়!’ ঠোঁটকাটা রাজনীতিবিদ বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী ও দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস থাকলে কেন বুক দুরুদুরু করবে! রোজকার রুটিন মেনে চলছি। দিনরাত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলছি। কীসের টেনশন?’ ফুৎকারে ওড়ালেন দিলীপবাবু।
২৪ ঘণ্টা পর ফল। দিনভর নয় লোকজনের মাঝে কাটাচ্ছেন, ঘুমনোর আগে টেনশন ঘিরে ধরবে না? বারাসত কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘সে তো অল্পবিস্তর হবে। কিন্তু এত মিটিং, কর্মীদের ফোন, লোকজনের সঙ্গে কথা—এতে নিজস্ব সময় বলে কিছুই থাকে না। তাছাড়া সব বুথের কর্মীদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। তাতে সবসময় কিছু না কিছু এসেই যাচ্ছে। উত্তরও দিচ্ছি। টেনশনও আমাকে বিপাকে ফেলার সময় পাচ্ছে না।’ হাসছিলেন কাকলিদেবী।
সদ্য রাজনীতিতে। প্রথমবারেই বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার বললেন, ‘একটু টেনশন তো হচ্ছেই। তবে বিশ্বাস আছে। আমার উদ্বেগ কাটানোর টোটকা হল বই, বাড়ির লোকজন, মনরোগ বিশেষজ্ঞ বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ফোনে আড্ডা, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক। এখন পড়ছি ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার বললেন, ‘কাউন্টিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ, কর্মীদের নিয়ে লাগাতার বৈঠক, দিনরাত লোকজনের আসা-যাওয়া, টেনশন করবটা কখন!’ আর যাদবপুর কেন্দ্রে তরুণ সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘যথেষ্ট আশাবাদী। আমাদের লোকসভা কেন্দ্রে ‘লাল’-এর প্রভাব আরও বাড়বে। ফল ঘোষণা নিয়ে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নই। সেই সময় কোথায়!’