সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সিআইডি আধিকারিকরা জেনেছেন, আনারের সঙ্গে কলকাতার অনেকেরই যোগাযোগ ছিল। কলকাতায় এলে তাঁদের সঙ্গে তিনি দেখা করতেন। তাঁরা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ সোনা কেনেন। সেই সূত্রে আনারের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। প্রভাবশালী এমপির সুবাদে চোরাই সোনা আনতে তাঁদের অসুবিধা হতো না। তদন্তে প্রকাশ, এমপির মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে শাহিনের আলাপ হয়। এমপি খুনের মূল ষড়যন্ত্রী শাহিন নিজে চোরাই সোনা নিয়ে একাধিকবার কলকাতায় এসেছে। সেই সুবাদে আমেরিকায় পলাতক এই অভিযুক্ত আনারের সঙ্গে তার শত্রুতার বিষয়টি তাঁদের বলেছিলেন কি না, জানতে চান তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন—১৩ তারিখের পর গোপালবাবু কি আনারের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি? তাহলে কেন পাঁচদিন পর পুলিসে অভিযোগ জানালেন? আগেই তো মিসিং ডায়েরি করা উচিত ছিল।
তদন্তকারীদের প্রশ্ন: গোপালবাবুর কী ব্যবসা? আনারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথা কি তিনি বাংলাদেশ পুলিসকে জানিয়েছেন? কলকাতায় অন্য ঘনিষ্ঠদের ছেড়ে এমপি গোপালের কাছেই ছিলেন কেন? শাহিনের সঙ্গেও গোপালবাবুর যোগাযোগ ছিল কি? ১০ মে কলকাতা ছাড়ার আগে শাহিন কি কোনোভাবে গোপালবাবুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন?
খুনের ঘটনায় নেপালে আটক সিয়ামকে কীভাবে ফেরানো হবে, তা নিয়ে নেপাল পুলিসের সঙ্গে কথা বলছেন সিআইডি ও বাংলাদেশ পুলিস। শীঘ্রই তাকে হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ পুলিস। সিয়ামের দুটি পাসপোর্ট—একটি স্বনামে, অন্যটি বেনামে। নাম-পরিচয় লুকিয়ে, লুক বদলে সে নেপালে ঢোকে। কাঠমাণ্ডুতে এক চেনা ব্যক্তির মাধ্যমে সে নেপালে যায়। সেখান থেকে পাসপোর্ট নিয়ে তার অন্যত্র পালানোর ছক ছিল বলে জেনেছে সিআইডি।