সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
একটি বেসরকারি আবহাওয়া বিশ্লেষক সংস্থার দাবি, এবছর উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতে স্বাভাবিক বা ভালো বৃষ্টি হবে। যথেষ্ট ভালো বৃষ্টি পেতে পারে মহারাষ্ট্র বা মধ্যপ্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্য। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ঘাটতি
থাকবে বর্ষার। আশঙ্কা, এর ছোঁয়াচ লাগতে পারে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেও। সেই তালিকায় অবশ্যই আছে বাংলা। সেই ঝুঁকির কথাই একটি রিপোর্টে তুলে ধরেছে ক্রিসিল। তাদের বক্তব্য, জুলাই এবং আগস্ট—যে দু’মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, সেই সময়ই বর্ষার খামতি থাকতে পারে এখানে। তাই আগাম সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেছে তারা।
ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটির বক্তব্য, গত অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধি দেশজুড়ে অর্থনীতির উপর সার্বিকভাবে বড় প্রভাব ফেলেছিল। তার অন্যতম কারণ ছিল কিছুটা কম বর্ষা। শুধু যে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল, তাই নয়, বর্ষা ছিল অনিয়মিত। শস্য উৎপাদনে তা প্রভাব ফেলে এবং জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়। এর মধ্যে চালের মূল্যবৃদ্ধি হয় ১২.২ শতাংশ হারে। অড়হর ডালের দাম বাড়ে ৩৩.৪ শতাংশ, অন্য কয়েকটি মোটা দানাশস্যের দাম একত্রে ১০.৯ শতাংশ হারে বাড়ে। এই শস্যগুলি ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও যথেষ্ট পরিমাণে উৎপন্ন হয়। বিশেষত বাংলার চালের দিকে নজর থাকে গোটা দেশের। এবারও যদি বৃষ্টির ঘাটতি হয়, তাহলে উৎপাদন কম হতে পারে শস্যগুলির। সেক্ষেত্রে আগে থেকে নজরদারি চালালে বিকল্প পথ সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।