সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন শ্যামপুকুরের কুমোরটুলি। কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড। বনমালী সরকার স্ট্রিটের বিশ্ববিখ্যাত এই কুমোরপাড়ার কয়েক হাজার বাসিন্দার বেশিরভাগই প্রতিমা, প্রতিমার গয়না এবং ফাইবার গ্লাসের মূর্তি নির্মাণের কাজে যুক্ত। তাঁরা ভোট দিতে যান মূলত দুটি কেন্দ্রে—কুমোরটুলিতে পুরসভার হেলথ সেন্টারে এবং ‘সব পেয়েছির আসরে’।
মৃৎশিল্পী মধু পালকে দেখা গেল দুর্গামূর্তিতে মাটি লেপতে। ভোট দিয়েছেন? জিজ্ঞাসা করতেই হাতের মাটি ধুয়ে আঙুলে লেগে থাকা কালি দেখালেন। বললেন, ভোট তো দেবই। তবে কাজে ফাঁকি দেওয়া চলবে না, টাইমে ডেলিভারি দিতে হবে যে! তাই সকাল সকাল ভোট দিয়েই কাজে হাত দিলাম।
মৃৎশিল্পী মালা পালের শিয়রে সংক্রান্তি। সোমবারই তাঁর ঠাকুর যাবে মুম্বই। শেষ মুহূর্তের কাজ এখনও বাকি। তারপরই আবার ঠাকুর পাঠাতে হবে আমেরিকায়। আবার কানপুর থেকে এসেছে ফাইবার গ্লাসের দুর্গামূর্তির অর্ডার। নাওয়া-খাওয়ার ফুরসত নেই। তার মধ্যেও ভোট দিয়ে এসেছেন তিনি। ফিরেই প্রতিমা শেষ করার কাজ নিয়ে বসলেন। মেজদা গোবিন্দ পাল এবং স্বামী ভানু রুদ্র পালও প্রতিমা তৈরিতে যুক্ত। তাঁরাও কাজের ফাঁকে ভোট দিয়ে এসেছেন।
তাঁদের কথায়, ভোট না দিলে চলবে না। সবাই চাই দেশের ভালো হোক। মানুষ আরও ভালো করে বাঁচুক। গণতন্ত্র আরও মজবুত হোক। তাই কাজের পাহাড়প্রমাণ চাপের মধ্যেও ভোট দিয়ে এসেছি।
দুর্গার পাশাপাশি কয়েকটি ঘরে দেখা গেল জোর কদমে লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমা গড়া চলছে। মৃৎশিল্পীরা জানালেন, আর এক সপ্তাহের মধ্যেই দুর্গার কাঠামো বাঁধা শুরু হবে। আর দুর্গামূর্তি না বেরোনো পর্যন্ত লক্ষ্মী বা কালী প্রতিমা কিছুই বাঁধা যাবে না। তাই আগে থেকেই কিছুটা কাজ এগিয়ে রাখা।
মাটির কাজ শেষ করে অর্ধসমাপ্ত লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমা গোডাউনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দুর্গা মূর্তি বেরলে সেগুলি নিয়ে আসা হবে। বাঁকুড়া, কৃষ্ণনগরের শিল্পীদেরও কাজ করতে দেখা গেল কুমোরটুলিতে। আগের দফায় ভোট দিয়ে ফিরে এসেই কাজে ফের মন দিয়েছেন তাঁরা।