প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা বৃদ্ধি। গৃহে কোনও শুভানুষ্ঠান উপলক্ষে অতিথি সমাগমে আনন্দ। দেহে আঘাত ... বিশদ
কোলেস্টেরল নিয়ে বাঙালিদের উদ্বেগের শেষ নেই। আপনি কী বলেন?
(হাসতে হাসতে) দেখুন, অহেতুক প্যানিক বা টেনশন করাটাও কিন্তু হার্টের পক্ষে একেবারেই ভালো না। বাঙালিদের তাই বলবো, কোলেস্টেরল নিয়ে অহেতুক উদ্বেগ করবেন না। দেশের অধিকাংশ মানুষের কোলেস্টেরল লেভেল বর্ডার লাইনের সামান্য এদিক-ওদিক। তাতে পৃথিবী ওলটপালট হয়ে যায় না!
মানে? কোলেস্টেরল দিয়ে ভাববো না বলছেন?
বলছি অহেতুক উদ্বেগ না করতে। কোলেস্টেরল লেভেল যদি খুব বেশি থাকে, অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু আবারও বলছি কোলেস্টেরল লেভেল বর্ডার লাইনের উনিশ-বিশ হলে সমাধানসূত্র আপনারই হাতের মুঠোয়।
যেমন?
খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর করুন। জীবনযাত্রায় একটু সংশোধন আনুন। ওজন কমান। আপনার ডাক্তারবাবু যদি একান্তই বলেন ওষুধ খেতে হবে, তাহলে ওষুধ খান। তবে আমার মতে, সামান্য এদিকওদিক কোলেস্টেরলে লাইফস্টাইল মডিফিকেশনই যথেষ্ট।
আশ্বস্ত করলেন।
দেখুন, কোলেস্টেরল দিয়ে বিশ্বজুড়ে ধ্যানধারণাটা পাল্টে গিয়েছে। সামান্য এদিক ওদিক কোলেস্টেরল নিয়েও অনেকের হার্টের অসুখ ধরা পড়েছে। আবার খুব বেশি কোলেস্টেরল থাকা সত্ত্বেও দেখা গিয়েছে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ নেই! এমনকী অন্য কোনও অসুখও নেই। এরপরই আমেরিকা সহ একাধিক দেশের গাইডলাইনের পরিবর্তন হয়েছে। আর কোলেস্টেরল মানেই শত্রু, এই ধারণা পালটাবার সময় এসেছে।
মানে কোলেস্টেরলকে ভয় পাব না একদম বলছেন?
অহেতুক ভয় পাবেন না। কোলেস্টেরল আমার আপনার জীবনের জন্যও অত্যন্ত জরুরি।
আর খুব বেশি কোলেস্টেরল থাকলে?
হার্টের জরুরি কিছু পরীক্ষা আপনাকে করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি পরীক্ষা হল হার্টের সিটি স্ক্যান। এই পরীক্ষা বলে দেবে আপনার ধমনীতে কোলেস্টেরল জমা হতে শুরু করেছে কিনা। আর শুরু করলে সেটা কতটা। সেই রিপোর্ট যদি ঠিক থাকে বেশি কোলেস্টেরল নিয়েও চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।